সরকার সুপরিকল্পিতভাবে সংঘাত সৃষ্টি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, ‘তার এ বক্তব্য বিরোধীদলের ওপর অস্ত্র ব্যবহারের নতুন চক্রান্ত।’ গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘আইনজীবী সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আইনজীবীরা অংশ নেন।
আইনজীবী সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন- বিএনপি দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য সীমান্তে অস্ত্র জড়ো করছে। তিনি কোন সময়ে এটা বলছেন, যখন দেশের জনগণ এ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এক হয়ে রাজপথে নেমেছে, একটা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।’
‘বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীনদের অস্ত্র ব্যবহারের নতুন ষড়যন্ত্র এটা, নতুন চক্রান্ত। তার এ বক্তব্যের পর যদি জনগণের ওপর অস্ত্র ব্যবহার হয়ে থাকে, দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সহিংসতাকে ছড়িয়ে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ তাদের ২৪ তারিখের প্রোগ্রাম ২৭ তারিখে নিয়ে গেছে। কেন? কারণ তারা জনগণের সাথে সংঘাত করতে চায়। তখনই কেউ সহিংসতা চায় যখন তার জনসমর্থন হারিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ও তার জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘সংসদে যে সরকার বসে আছে তারা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। অস্থিতিশীলতা, ভয়াবহ পরিস্থিতি, অনিশ্চয়তা জাতির সামনে সৃষ্টি করা হয়েছে। এরা আমাদের বিচার ব্যবস্থা খেয়ে ফেলেছে, জনগণের যে ন্যূনতম অধিকার ভোট তাও কেড়ে নিয়েছে।’ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।