ফের খোলসবন্দী সাকিব আল হাসান, আরো এক ম্লান ম্যাচ কাঁটালেন তিনি। ব্যাটে-বলে পারলেন না নামের শান ধরে রাখতে। বিপরীতে ছন্দে ফিরেছেন তাওহীদ হৃদয়, এক ম্যাচ পর ফের পেয়েছেন রানের দেখা। যদিও লক্ষ্য ছোট হওয়ায় বড় ইনিংস খেলা হয়নি, তবে দলকে জেতানোর সুখানুভূতি নিয়েই দেশে ফিরছেন এই ব্যাটার।
লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের এবারে আসরে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। অবিশ্বাস্য কিছু না করতে পারলেও ৯ বলে অপরাজিত ১৪ রান করে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন হৃদয়। তাও কিনা আবার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন তিনিই। গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাতে কলম্বোর বিপক্ষে মাঠে নামে জাফনা কিংস। যেখানে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে কলম্বো। রান তাড়া করতে নেমে জাফনা জিতেছে ৩৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে। চার হাঁকিয়ে হৃদয় জয় নিশ্চিত করলেও জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিল দুই ওপেনার।
উদ্বোধনী জুটিতে ওই দিন ৫.২ ওভারে যোগ হয় ৫৮ রান। ২১ বলে ৩৯ রান করেন ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। আরেক ওপেনার নিশান মাদুশঙ্কা করেন ৩২ বলে ৪৬ রান। থিসারা পেরেরার ব্যাটে আসে ৭ বলে ১৭। এরপর ডেভিড মিলারকে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন হৃদয়। চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ায় দ্রুত দেশে ফিরবেন হৃদয়, যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। তবে লঙ্কানদের এই লিগে অল্প সময়েই বেশ প্রভাব ফেলেছেন তিনি। ৬ ইনিংসে ১ ফিফটিতে ১৫৫ রান করেছেন হৃদয়। যেখানে গড় তার ৩৮.৭৫, স্ট্রাইকরেট ১৩৫।
একই দিনের প্রথম ম্যাচে সাকিবের গল টাইটান্স মুখোমুখি হয় বি লাভ ক্যান্ডির। তবে ব্যাটে-বলে বলার মতো কিছুই করা হয়নি সাকিবের। বল হাতে ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকার পর ব্যাট হাতেও ছিলেন ব্যর্থ, ১২ বলে ১ চারে করেন ১১ রান। সাকিবের এমন ম্লান দিনে তার দলও হেরেছে। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ পেল গল। আগে ব্যাট করে ক্যান্ডি ওই দিন ৫ উইকেটে ২০৩ রান তুলে স্কোরবোর্ডে। ফখর জামানের ৩৫ বলে ৪৫ ও ম্যাথিউজের ২৩ বলে ৪০ ছাপিয়ে ঝড় তুলেন হাসারাঙ্গা। ২৭ বলে খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮.১ ওভারে মাত্র ৪৭ রানেই ৬ উইকেট হারায় গল। এই ছয়জনের মাঝে ক্রসপুলির ২৭ ছাড়া শুধুমাত্র দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন সাকিব (১১)। তবে শেষদিকে প্রিয়াঞ্জনের ২৫ ও সামারকোনের ৩৬ রানে ১০০ পাড়ি দেয় গল। অলআউট হয় ১৬.৪ বলে ১১৪ রানে। ৮৯ রানের জয় পায় ক্যান্ডি।