মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ঘুমও ইবাদত

খালিদ বিন শাহিদ
  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩

মুমিনের পুরোটা জীবন রবের নিয়ামতে ভরপুর। নিয়ামতরাজির অন্যতম হচ্ছে ঘুম। ঘুম আছে বলেই মুমিন ইবাদতে মগ্ন থাকে দ্বিগুণ গতিতে। ইবাদত করতে করতে যখন ক্লান্তি চলে আসে, ঘুমই তখন দূর করে দেয় সমূহ ক্লান্তি-অবসাদ। উদ্যমতা ফিরে পেতে ঘুমের বিকল্প নেই। সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য ঘুম অপরিহার্য।
আল্লাহ ঘুমকে তার অনুগ্রহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ‘আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী’ (সূরা নাবা-৯)। ঘুমের আগে মুমিন যদি সুন্নতের প্রতি খেয়াল রেখে ঘুমায়, তার ঘুমও তখন ইবাদতে পরিণত হবে। কেননা মুমিন তার সব কাজে রাসূল সা:-এর অনুসরণ করবে এটিই স্বাভাবিক।
তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া : রাসূল সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত ইবাদতে কাটাল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করল, সে যেন পুরো রাত ইবাদতে কাটাল’ (মুসলিম-১৪৯২)।
অজু করা : রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করে নাও’(বুখারি-২৪৭)।
আগুন নিভিয়ে দেয়া : মহানবী সা: বলেন, ‘তামরা যখন ঘুমাতে যাবে ঘরে আগুন জ্বেলে রাখবে না’ (মুসলিম-২০১৫)।
খাবারের পাত্র ঢেকে রাখা : নবীজী সা: বলেন, ‘তোমরা রাতে বাসনগুলো ঢেকে রাখবে, মশকগুলোর মুখ আটকে রাখবে’ (মুসলিম-৫১৫০)।
ঘর-বাড়ির দরজা বন্ধ করা : নবীজী সা: বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে দরজা বন্ধ করবে। কেননা, শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না’ (বুখারি-৩৩০৪)।
বিছানা ঝাড়া : রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ বিছানায় শয্যা গ্রহণ করতে যায়, সে যেন তার চাদরের ভেতর দিক দিয়ে নিজ বিছানা ঝেড়ে নেয়’ (বুখারি-৬৩২০)।
ডান কাত হয়ে শোয়া : রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যখন তুমি শোয়ার বিছানায় যেতে চাও তখন তুমি নামাজের অজুর মতো অজু করো এর পর ডান কাত হয়ে শুয়ে পড়ো’ (বুখারি-৭৪৮৮)।
দোয়া পড়া : রাসূলুল্লাহ সা: ঘুমের আগে ও পরে মাসনুন দোয়া পড়তেন (বুখারি-৬৩১৪)।
ঘুম ছাড়া যখন চলাই যায় না, ঘুমটা তাই এমনভাবে হওয়া উচিত যাতে করে ঘুমও হয়ে গেল, সাথে সাথে সওয়াবও অর্জন হলো। লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া ফয়জিয়া, ডেমরা, ঢাকা




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com