জোহানেসবার্গের সম্মেলনে ব্রিকসকে সম্প্রসারণের পক্ষে কথা বলেছেন অংশগ্রহণকারী নেতারা। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে একে একটি পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্মেলনে ব্রিকস নেতারা স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত হন। তোলা হয় গ্রুপ ছবি। কিন্তু সেখানে সবার দৃষ্টি ছিল যে দুই নেতার ওপর তারা পাশাপাশি দাঁড়ালেন না। এই দুই নেতা হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে তারা এই ছবির জন্য পোজ দেন। সবার দৃষ্টি এই দুই নেতার দিকে থাকলেও তারা দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ান। তাদের মাঝে দাঁড়ান দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। এ সময় ক্যামেরায় বার বার ক্লিক পড়তে থাকে।
ক্যামেরাবন্দি হন নরেন্দ্র মোদি, শি জিনপিং, রামাফোসা, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা। এ খবর দিয়েছে ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই। ওদিকে নেতাদের এমন ছবি প্রকাশ করেছে চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস।
ব্রিকসের নতুন ছয় সদস্য
ভারত, চীন, রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত বৈশ্বিক জোট ব্রিকসে নতুন ছয়টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন ছয়টি দেশ হলো মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জোহানেসবার্গে তিন দিনের শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে এ ঘোষণা করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, ব্রিকস গ্রুপ অব নেশনস ছয়টি দেশ- আর্জেন্টিনা, মিসর, ইরান, ইথিওপিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ব্লকের নতুন সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও ব্রিকস ব্লক সম্প্রসারণের বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। কতটা দেশ এবং কত দ্রুত তা নিয়ে নেতাদের মধ্যে বিভক্তি ছিল। তবে ব্রিকস সদস্যরা প্রকাশ্যে ব্লকের বৃদ্ধির জন্য সমর্থন প্রকাশ করেছে। সূত্র : রয়টার্স