নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিরুদ্ধে রোববার মেজর লিগ সকারের ম্যাচে ইন্টার মিয়ামির জার্সিতে মেসিকে নাও দেখা যেতে পারে। কালকের ম্যাচে মেসিকে বিশ্রামে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন মিয়ামি কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। এর ফলে এমএলএস’এ অভিষেকের জন্য মেসির অপেক্ষা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাত্র এক মাসের মধ্যে মিয়ামির লিগ কাপ শিরোপা জয় ও সিনসিনাতির বিরুদ্ধে ইউএস ওপেন কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচসহ মোট আটটি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। কিন্তু মেজর লিগ সকারে এখনো মাঠে নামা হয়নি বিশ্বকাপ জয়ী এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। মেসির আগমনের পর এই প্রথম মিয়ামি তাদের নিয়মিত এমএলএস মৌসুমে কাল মাঠে নামতে যাচ্ছে। মেসি খেলবেন কিনা এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মার্টিনো বলেছেন, আজকের অনুশীলনের পর এ ব্যপারে খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব। সিনসিনাতির ম্যাচের পর থেকে সবাই বিশ্রামে আছে। এর মধ্যে কেউ কেউ হোটেল হালকা অনুশীলন করেছে।’
নিউ জার্সির রেড বুল এরিনাতে কালকের ম্যাচকে ঘিরে প্রায় সব টিকেটই বিক্রি হয়ে গেছে। মেসি না খেললে তা সমর্থকদের জন্য হবে চরম হতাশার। কিন্তু মার্টিনো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এসব বিষয় নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন। মার্টিনো বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি সবাই মেসির খেলা দেখতে চায়, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু আমাকে এসবের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিলে চলবে না। ভুল কোনো কাজ করে আমি ঝুঁকি নিতে চাইনা। একটি বিষয় এখন আমার সামনে ঘুরপাক খাচ্ছে, মেসি খেলার জন্য আদৌ প্রস্তুত কিনা।’
ইতোমধ্যেই মিয়ামির হয়ে ১০ গোল করেছেন মেসি। মেসিকে বিশ্রামের বিষয়ে মার্টিনো আরো বলেছেন, ‘পুরো ক্যারিয়ারে সে সবসময়ই সব ম্যাচ খেলতে চেয়েছে। মাঝে মাঝে নিজেকে সতেজভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য তাকে বিশ্রাম নেবার জন্য বোঝানো হয়েছে। কিন্তু আমি বাইরের কোন চাপে পড়ে তাকে খেলানো বা না খেলানোর কোন সিদ্ধান্ত নিব না।’ বুধবার সিনসিনাতির বিপক্ষে সেমিফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে পুরো ১২০ মিনিট মাঠে ছিলেন মেসি। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে জয়ী হয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মিয়ামি। মেসির সাবেক দুই বার্সা সতীর্থ সার্জিও বাসকুয়েটস ও জোর্দি আলবাও পুরো সময় মাঠে ছিলেন। এর আগে ন্যাশভিলের বিরুদ্ধে লিগ কাপের ফাইনালে পেনাল্টিতে জয়ী হয়ে মিয়ামি শিরোপার লাভ করে। ওই ম্যাচের ভাগ্য পেনাল্টিতে নির্ধারিত হয়েছিল। মার্টিনো বলেন, ‘লিগ কাপের এতগুলো ম্যাচ খেলার পর পুনরায় লিগ শুরু করাটা আমাদের জন্য অনেক বড় চাপ, এটা আমি বুঝতে পারছি। লিগ কাপের ফাইনাল ও ইউএস ওপেন কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ দু’টি ছিল বেশ লম্বা। আমাদের এখন লিগের দিকে মনোযোগী হতে হবে। কিন্তু গত দেড় মাসে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। এখন দেখতে হবে সেটা চাপ সামলে খেলোয়াড়রা মাঠে কী করে। সিনসিনাসির বিপক্ষে ম্যাচের পর কিছু খেলোয়াড় সামান্য ইনজুরিতে পড়েছেন। একইসাথে প্রত্যেকেই বেশ পরিশ্রান্ত। সে কারণেই কালকের ম্যাচের স্কোয়াড নিয়ে এখনো চিন্তা করিনি।’
ইস্টার্ন কনফারেন্স লিগে এখনো মিয়ামি টেবিলের তলানিতে রয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, আগামী ১২ ম্যাচে মেসির অনুপ্রেরণায় ঘুড়ে দাঁড়িয়ে মিয়ামি শীর্ষ নয় দলের মধ্যে থেকে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করবে।