ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে পাঁচ দিন ভর্তি ছিলেন ভ্যানচালক বাদশাহ মিয়ার কিশোরী মেয়ে। সরকারি হাসপাতাল হলেও চিকিৎসা খরচ বাবদ এই পাঁচ দিনে তার পকেট থেকেই পাঁচ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলে বলছিলেন তিনি। “প্রতিদিন রক্ত পরীক্ষা করানোর খরচ তো আছেই। তার উপর অনেক সময়ই হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে ওষুধের সাপ্লাই নাই – তখন বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। আর রোগীর খাওয়া-দাওয়ার খরচ তো আছেই,” বলছিলেন বাদশাহ মিয়া। তিনি বলেন মেয়েকে আইসিইউ’তে ভর্তি করতে হয়নি বা প্লেটলেট দিতে হয়নি বলে তার খরচ অনেকের তুলনায় কম হয়েছে। আইসিইউ সুবিধা লাগলে বা প্লেটলেট নেওয়া লাগলে রোগের মাত্রা ভেদে চিকিৎসা খরচ চার-পাঁচগুণ বেড়ে যায় বলে বলছিলেন তিনি। বাদশাহ মিয়ার মেয়ের মত পাঁচদিন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রফিকুল ইসলামের ভাই মুহিতুল ইসলামও। তার ডেঙ্গুর ধরণও অনেকটা একই ছিল।
রফিকুল ইসলামের ভাষ্যে, “কেবিন ভাড়া, পরীক্ষা আর ওষুধের খরচ, খাওয়া-দাওয়া – সব মিলিয়ে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে।” আরেকটি বেসরকরি হাসপাতালে দুই দিন ভর্তি থাকা বদরুদ্দোজা বাবুর ডেঙ্গু চিকিৎসার খরচ হয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা।
“মূল খরচ হয়েছে প্লেটলেট নেয়ার প্রক্রিয়ায়, সেখানে লেগেছে ৩০ হাজার টাকা। কেবিনের ভাড়া লেগেছে দুইদিনে ১৩ হাজার টাকা। আর অন্যান্য খরচ ছিল পরীক্ষা করা ও ওষুধ কেনার।”বিবিসি বাংলা