বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে থামছে না কৃষি জমির মাটি কাটা কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ সারেংকাঠী ও গুয়ারেখা ইউনিয়নে ঢল নেমেছে স্বচ্ছ মনের প্রার্থী আলহাজ্ব আঃ হকের পক্ষে শেরপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র খোকনের দায়িত্ব গ্রহণ অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা বশির আহমদ উপজেলার পর এবার সিলেট বিভাগেরও শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা প্রধান কালীগঞ্জের আল-জাছির হলেন দেশ সেরা কালিয়ায় মক্কীনগর কবরস্থানের উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল ঈশ্বরগঞ্জে প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা আরমান হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন

ঘরে বাইরে পানি যাই কোন দিকে, পানি বন্দী হয়ে আছি

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাড়ির চারপাশে পানি ঘরে বাইরে কাঁদা। ৮ দিন ধরে পানি বন্দী হয়ে আছি। হাঁস-মুরগি গরু ছাগল নিয়ে খুব কষ্টে আছি। চুলার ভিতরে পানি রান্না করতে পাই না। অন্যের বাড়ি থেকে একবেলা রান্না করে এনে তিনবেলা খাই। কাজ নাই, কাম নাই। খুব কষ্টে আছি। মেম্বার চেয়ারম্যান তো খোঁজে নেয় না। পানিতে সংসারের কাজ করতে গিয়ে হাতে পায়ে ঘা ধরেছে। নিচু জায়গায় বাড়ি করে খুব কষ্ট করে থাকি। টাকা পয়সাও নাই উঁচু জায়গা জমি কিনে বাড়ি করবো। এভাবে কথাগুলো বলেছিলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের রেপুনা বেগম। শুধু রেপুনা বেগমই নয় ওই এলাকার একাধিক পরিবারের দূর্ভোগের চিত্র একই। সরেজমিনে দেখা যায়, রেপুনা বেগম স্বামী এরশাদ আলী। স্বামী সন্তানসহ এক ঘরে বসবাস। পাশে হাঁসমুরগি খোয়ারা। ঘরে কাদা,আঙিনায় পানি। দুদিন আগে ওই বাড়িতে ছিল কোমর পানি। পুরুষ মানুষ নৌকা, সাঁতরিয়ে উঁচু স্থান সড়কে সময় কাটাতে পারলেও বাড়ির শিশু বৃদ্ধ ও নারীরা পড়েছেন বিপদে। ভোগান্তি দূর্ভোগ কাটতে দিনের বেলা বসে আছেন হাঁস-মুরগি থাকা ঘরে। এমন পরিস্থিতিতে ত্রাণ সহযোগিতা নয় সরকারি বা কোন এনজিও যদি ভিটেমাটি উচু করে দেয় খুবই খুশি হতেন বলে জানান তিনি। হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা আকিলা বেগম বলেন, বর্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের দুঃখ দুর্দশার শেষ নাই। এসময় বাড়ির কর্তাদের কাজ কাম না থাকায় আমরা খুব কষ্টে জীবন যাপন করি। মাঝে মধ্যে সরকারি সাহায্য সহযোগীতা পাই। সেটা দিয়ে কি আর চলে। গরীব মানুষের দুঃখ বারোমাস। উপজেলার মাঝের আলগার চরের বাসিন্দা আমিনা খাতুন বলেন, এক সপ্তাহ থেকে বন্যার পানিতে বসতবাড়ি তলিয়ে আছে। কাঠখড়ি-জ্বালানি যা ছিল সব শেষ, শান্তিমত রান্না করে দুই বেলা খাবো তাঁর উপায় নাই। খড়ির মঙ্গা দেখা দিছে। ঘরে চাল থাকলেও রান্না করি খাওয়ার উপায় নাই। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জেলায় তিস্তা নদীর পানি ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৩৫ ও ৩৮ সে.মি নিচে রয়েছে। অনান্য নদ নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত বন্যার পূর্বাভাসের তথ্যানুয়ায়ী সপ্তাহে বড় ধরনের কোন বন্যার শঙ্কা নেই। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বেড়ে নি¤œাঞ্চলের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার পানির স্রোতে জেলায় ৫টি স্থানে ৭৮০মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৮. ৩৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়ে ৫ হাজার ২৮০টি পরিবার বন্যার কবলে পড়েছে। আমাদের ত্রাণ বিতরনের কাজ চলমান রয়েছে। জেলায় বন্যার্ত মানুষের জন্য ১৮টি স্থায়ী ও ৩৬১টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ২৮০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৩ হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ আছে। গো- খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ মজুদ রয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com