প্রতিবছরেই ভাঙ্গছে সোনাভরি, হলহলিয়া জিঞ্জিরাম ব্রম্মপুত্র নদ। সম্বলহীন হয়ে যাচ্ছে জমি জমা, ঘরবাড়ি, গরু ছাগল, গাছ পালা। অসংখ্য মানুষ অন্যের বাড়ি, অন্যের জায়গায় টিনের ছাউনি তুলে ও গুচ্ছ গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে কষ্টে বসবাস করছে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো। ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উত্তর চাক্তাবাড়ি গ্রামে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া স্থানে এক মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। হঠাৎ করে ভাদ্রের শেষের দিকে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় লাল পানি রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা হতে ফলুয়ারচর নৌকা ঘাটের পূর্বদিকে সোনাভরি নদীতে পানি প্রবেশ করে উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের উত্তর চাক্তাবাড়ি গ্রামে দুইদিনের ব্যবধানে প্রায় ২০টি পরিবার নদী ভাঙ্গনের কবলে বিলিন হয়েছে। পানি কমছে, ¯্রােতের তীব্রতা বেড়ে নদী ভাঙ্গনে আতংক বাড়ছে। ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিনে, পাল্টে যাচ্ছে উক্ত গ্রামের চিত্র। নিঃশ্ব হচ্ছে উক্ত গ্রামের মানুষ। স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যের জায়গায়, রাস্তার পার্শে টিনের ছাউনি তুলে এবং অন্যের বাড়িতে কষ্টে দিনাতী পাত করছে। ভাঙ্গন কবলিত ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, ভাঙ্গন রোধে সরকার ফলুয়ারচর ঘাট সংলগ্ন ব্রম্মপুত্র ও চাক্তাবাড়ি, যাদুরচর সোনাভরি মুখে বাধঁ দেয়ার জন্য গত দুই বছর আগে বরাদ্দ দিয়েছিল। বরাদ্দ মতে সেখানে বাধঁ নির্মান কাজ শুরুও করেছিল। বিধিবাম, হঠাৎ উধাও হয়ে গেল বাধঁ নির্মান কাজ। বাধটি না থাকায় অত্র এলাকায় পানি প্রবেশ করে নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কার্যকরি পদক্ষেপ না থাকায় কাজটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল। উত্তর চাক্তাবাড়ি গ্রামে মানববন্ধনে নদী গর্ভে বিলিন ভুক্তভোগী বিশাল আলী, সোনা মিয়া, জোসন আলী, তাহের আলী, আজাহার আলী ও সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, ভাদ্র মাসের শেষের দিকে হঠাৎ করে ভারত থেকে নেমে আসা পানি চরের মধ্যে রোপা আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এদিকে ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি সড়াতেও সময় পাচ্ছি না। রাতারাতি ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে পানির তীব্র ¯্রােত। ফলুয়ারচর ঘাট সংলগ্ন ব্রম্মপুত্র নদের মুখে সরকারের বরাদ্দ এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী বাধটি নির্মান কাজ শেষ হলে নদী গর্ভে বিলিন হতে হতো না পরিবার গুলিকে। আমাদের দাবী ভুক্তভোগী পরিবার গুলিকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধ করা। সদর চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, বাড়ি গুলি ভাঙ্গনের সাথে সাথে এলাকায় গিয়েছিলাম এবং ভুক্তভোগীদের মাঝে চাল, ডাল ও কিছু শুকনা খাবার দিয়ে এসেছি। বাড়ি গুলি নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়ে ইউএনও কে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি।