মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ডেঙ্গুর প্রকোপ: চাহিদা বাড়ায় বাজারে স্যুপের সংকট

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিত স্যুপ। এ কারণে সুস্থ মানুষের পাশাপাশি রোগীরাও এখন স্যুপ খেয়ে থাকেন। দেশে গত কয়েক বছরে যেসব রোগের প্রকোপ চলছে, তাতে পথ্য হিসেবে প্রয়োজন হচ্ছে তরল খাবারের। এ কারণে স্যুপে আগ্রহ বাড়ছে ভোক্তাদের। ফলে দিন দিন বাড়ছে স্যুপের বাজার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার সময় থেকে শুরু করে চলতি বছরের ডেঙ্গুর প্রকোপ পর্যন্ত গত প্রায় চার বছরে এ বাজার বাড়ছে ২৫ শতাংশ হারে। বাজার বড় হতে থাকায় বহুজাতিক কোম্পানির পাশাপাশি নাম লেখিয়েছে দেশের বড় একটি শিল্পগ্রুপ। এতে বাড়ছে স্যুপের উৎপাদনও। এরপরও চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকছে। তবে হঠাৎ করে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় স্যুপের চাহিদা বেড়েছে। এতে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে স্যুপে সরবরাহে। কোম্পানিগুলো বলছে, উৎপাদন সক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহার করেও চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না।
দেশে স্যুপ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর দেওয়া তথ্যমতে, ২০২০ সালের পর থেকে পণ্যটির চাহিদা বছরে ২০-২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। সে সময়ের আগে বাজারে খুব একটা প্রবৃদ্ধি ছিল না। মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের ফলে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আসছে। পাশাপাশি বিগত সময়ে করোনা এবং বর্তমানে ডেঙ্গুর কারণে বেড়েছে স্যুপের চাহিদা।
কোম্পানিগুলো বলছে, দেশে বছরে এখন স্যুপের চাহিদা ৬০০ টন। ২০২০ সালের আগে যা অর্ধেক ছিল। সে হিসাবে টাকার অঙ্কে স্যুপের বাজার বর্তমানে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
বাংলাদেশে স্যুপের শুরুটা হয়েছিল সুইজারল্যান্ডের বহুজাতিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানি নেসলের হাত ধরে। এর আগে বিচ্ছিন্নভাবে সামান্য কিছু স্যুপ আমদানি হতো। তবে বিক্রি হতো সীমিত। ১৯৯৭ সালে বাজারজাত শুরুর পর থেকে দেশে এখন পর্যন্ত স্যুপের ৭০-৮০ শতাংশ শেয়ার ধরে রেখেছে নেসলের ব্র্যান্ড ‘ম্যাগি’। বর্তমানে বাংলাদেশের বড় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল বাজারজাত করছে ‘ক্যান্টন’ ব্র্যান্ডের স্যুপ। এছাড়া আরেক বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার ‘নর’ ব্র্যান্ডের স্যুপ এনেছে বাজারে।
স্যুপের বাজার নিয়ে নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির পর থেকে স্যুপের বাজার বড় হচ্ছে। এরমধ্যে আবার এখন ডেঙ্গুর কারণে চাহিদা বেড়েছে। মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হিসেবে স্যুপকে গ্রহণ করেছে। আবার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের ফলে খাদ্যাভ্যাসেও আসছে পরিবর্তন, যা স্যুপের চাহিদাকে ধারাবাহিকভাবে বাড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি দেশের সার্বিক চাহিদা বিবেচনায় নিলে এখনো স্যুপের বাজার ছোট। এ ব্যবসা শুরুর পরও খুব একটা বড় হয়নি বাজার, যা এখন হচ্ছে।
চাহিদা বেশি, সরবরাহ কম্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র; গত কয়েকদিন ঢাকার রামপুরা, মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেসব এলাকার অধিকাংশ দোকানে স্যুপের সরবরাহ কম। বিক্রেতারা বলছেন, অর্ডার দিয়েও স্যুপ পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ডেঙ্গুর কারণে চাহিদা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ক্রেতাদের অনেকে স্যুপ না পেয়ে ফিরেও যাচ্ছেন। সরেজমিনেও ওই এলাকায় প্রায় ১০টি মুদি দোকানের মধ্যে স্যুপ পাওয়া গেছে ছয়টিতে। আবার কোথাও মিললেও চাহিদামতো ফ্লেভার বা পরিমাণ মিলছে না।
রামপুরায় ‘ভাই ভাই স্টোর’-এর মালিক এনামুল হক বলেন, গত একমাসে কয়েক দফা অর্ডার নিয়েছে স্যুপ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। কিন্তু পণ্য দেয়নি। গত তিনদিন আগে মাত্র দুই বক্স স্যুপ দিয়েছে। যা এক-দুই দিন বিক্রি করা যাবে। তিনি বলেন, আগে এতো স্যুপের চাহিদা ছিল না। ডেঙ্গু চাহিদা বাড়িয়েছে।
তবে সেগুনবাগিচায় অবস্থিত আগোরা সুপারশপের অপারেশন অফিসার মোস্তফা কামাল বলেন, প্রচুর স্যুপ বিক্রি হচ্ছে এখন। ওয়্যারহাউজ থেকে চাহিদা দিয়ে আমরা এখনো স্যুপ পাচ্ছি, সে কারণে সরবরাহ সংকট নেই। এ বিষয়ে নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, আমাদের কোম্পানি এখন শতভাগ উৎপাদনে রয়েছে। দোকানেও শতভাগ সরবরাহ দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে হঠাৎ করে চাহিদা বাড়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি আরও সরবরাহ বাড়ানোর। ইউনিলিভার বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপ অ্যান্ড কমিউনিকেশনস বিভাগের পরিচালক শামিমা আক্তার বলেন, গত দুই মাসে নর স্যুপের চাহিদা বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের থেকে বেশ ভালো বাজার প্রবৃদ্ধি হয়েছে।- জাগো নিউজ




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com