পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১০ নম্বর হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাব অফিসের নামে টিয়ারখালী বাজারে জমিসহ একটি একতলা ভবন দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ ঐ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী আত্মীয় (শ্যালক)। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে ভুক্তভোগী নিপা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিাযোগ করেন, প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ ফারুক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো ঐ ভবনের একটি কক্ষ শালিস ব্যবস্থার জন্য ব্যবহার করতে চান। জনস্বার্থে একটি কক্ষ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন তারা। কয়েক বছর ওই কক্ষটি ব্যবহার করে একপর্যায়ে তাদের না জানিয়ে পুরো ভবনটিতে মেরামতের কাজ শুরু করেন। এতে আমাদের সন্দেহ হলে তাদেরকে ওই কক্ষটি ব্যবহারে বাধা প্রদান করলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের পুরো ভবনটি দখলের চেষ্টা চালায়। কয়েক বছর ধরে এ নিয়ে হামলা ও মামলা মোকদ্দমার সৃষ্টি হয়। বিরোধ চরমে পৌছালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিরোধ নিস্পত্তির জন্য কোন পক্ষই ওই ভবন ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষ মহিউদ্দিন ফারুক ও তাদের লোকজন ঐ ভবনের তালা ভেঙে দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় বাধা দিলে তারা আমাদের বিভিন্ন ভাষায় হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ বিষয় জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীর সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় হওয়ায় তাদের ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটছে। এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১৯৬১ সালে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান বাহার আলী হাওলাদার ওই ভবনের একটি কক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের সাব অফিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।
স্বাধীনতার পরবর্তী আমি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ওই ভবনে ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নামে ৩৩ শতক জমি ইউনিয়ন পরিষদের নামে ক্রয় করা হয়েছিল এবং সেই জমিতেই ওই ভবন নির্মিত। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।