ঢাকার সাভার উপজেলায় প্রায় ৭০ লক্ষ লোকের জন্য ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবলের অভাবে বেড়েছে রোগীদের দূর্ভোগ। প্রতিনিয়ত দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকে সেবা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। অনেক সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকেরাও অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সেবা দিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। বছরের পর বছর এ অবস্থা চলে আসলেও সরকারী এই প্রতিষ্ঠানটির জনবল বৃদ্ধি ও শয্যা বাড়ানোর ব্যাপারে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। সাভার পৌরসভার ছায়াবীথি এলাকার সুমি বেগম জানান, সম্প্রতি তিনি কোমড়ের ব্যাথা নিয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে প্রায় ঘন্টাখানেক দাঁড়িয়ে থেকে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে আসেন। এমনি আশুলিয়ার শিমুলিয়ার আব্দুল কাদের, সাভারের ভাকুর্তার সলিম উদ্দিন, পৌর এলাকার রমিজা বেগম, কাইউম মিয়াসহ অনেক রোগীরা একই অভিযোগ করেন। শত শত লোকের ভিড় ঠেলে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিতে গিয়েও যেন অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। দেখা গেছে, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। রোগী ভর্তি করাতে এসেও বিছানা না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সেবা গ্রহীতাদের। এছাড়াও হাসপাতাল ক্যাম্পাসে কক্ষ ও ডাক্তার সংকট রয়েছে প্রতিনিয়ত। এভাবে এত লোকের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালে কর্তব্যরতরা। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সায়েমুল হুদা জানান, প্রতিদিন হাসপাতালের বহি:বিভাগে ১৩ থেকে ১৪’শ রোগী সেবা নিতে আসেন। জরুরী বিভাগেও প্রায় ১২ থেকে ১৩’শ রোগী আসেন। ৫০ শষ্যার আবাসিক ওয়ার্ড গুলোতে ভর্তি থাকেন প্রায় শতাধিক রোগী।
অনেক সময় ওয়ার্ডে জায়গা না থাকলেও তাদের বাধ্য হয়ে বারান্দায় রেখে চিকিৎসা সেবা দিতে হয়। ২০১৯ সালে হাসপাতালটিকে ১’শ শয্যা করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি বলেন, আমি এই হাসপাতালটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। হাসপাতালটির উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে রোগীদের জায়গা দেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সংসদে আমি দাবী তুলেছি এবং ১’শ শয্যায় উন্নয়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।