স্বামীর ক্রয়কৃত বাড়িতে উঠতে না দিয়ে শশুর দেবরের নির্যাতন ও এসআই গোপাল চন্দ্রের অসদাচরণের প্রতিবাদে দুই এতিম শিশুদের সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিধবা ছালেহা খাতুন(৩৮)। তিনি শাহজাদপুর পৌর শহরের কান্দাপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুর রউফের স্ত্রী। দেওয়ানপাড়া মহল্লায় তার ভাড়া বাসায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছালেহা খাতুন বলেন, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের অর্থ যোগাতে ২০১৩ সালে ২৮ নভেম্বর আমার শ্বশুর নঈম উদ্দিন সরকার তার নিজ নামিয় বাড়ির ১০ শতক জায়গা আমার স্বামী আব্দুর রউফের কাছে বিক্রি কবলা করে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার দেবর এসএম শামীম আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। এ অত্যাচর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামী ও নাবালক দুই সন্তান নিয়ে আমরা দেওয়ারপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করি। গত ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর আমার স্বামী আব্দুর রউফ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরপর দুই সন্তান নিয়ে ভাড়াবাসায় সংসার চালানো দায় হয়ে পড়লে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আমি আমার সন্তানদের নিয়ে স্বামীর ক্রয়কৃত কান্দাপাড়ার বাড়িতে ওঠতে গেলে আমার দেবর এসএম শামীম ও শ্বশুর নঈম উদ্দিন সহ ৫/৬ জন আমাদের বেধরক মারপিট ও নির্যাতন করে আটকে রাখে। আমরা নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ কল দিলে শাহজাদপুর থানার এসআই গোপাল চন্দ্র আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ওইদিন রাতেই আমি শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে গেলে এসআই গোপাল চন্দ্র বাধা দিয়ে বলেন, অভিযোগ নেয়া যাবেনা। এক বড় ভাইয়ের নিষেধ আছে। এ সময় তিনি আমার কাছে টাকা পয়সাও দাবী করেন। আমি দিতে অপারোগতা প্রকাশ করলে তিনি বলেন, আপনাদের অভিযোগ নেওয়া যাবে না বরং শামিম অভিযোগ দিলে ওটা নিতে হবে। একজন আইনের লোক হয়ে তিনি এমন কথা কিভাবে বলতে পারলেন? তার এমন আচরনে আমি হতাশ হই। শামিমের পাশাপাশি এসআই গোপাল চন্দ্রেরও বিচার চাই। আমার বাড়ির দখল বুঝে পেতে সহযোগিতা ও এসআই গোপাল চন্দ্রের অসদাচরণের সুবিচার দাবী করছি। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিধবা ছালেহা খাতুনের মেয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী লাবিবা খাতুন(১৪) ও ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহিন(১৩)। এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার এসআই গোপাল চন্দ্র এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছি। তাদের এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, এসআই গোপাল চন্দ্রের এমন আচরণ করার কথা নয়। তারপরেও এসআই গোপাল চন্দ্র যদি কোনো অসদাচরণ করে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।