“একজন পুলিশকে জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে তাদের দুঃখ-কষ্টকে অনুধাবন করতে হবে। যাতে সেবা থেকে কেউ বঞ্চিত না হয়”।
সিএনআই নিউজের সাথে সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা।
তিনি আরও বলেন, আমরা সামাজিক জীব। এই দেশের জনগণের পাশাপাশি আমাদের পরিবারের লোকজনও বসবাস করেন। দেশের প্রতিটি জনগনকে নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতে হবে। তবেই মানুষ কাঙ্খিত সেবা পাবেন। ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি দীপক চন্দ্র সাহা টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি করটিয়া সাদৎ বিশ^দ্যিালয় কলেজ ও জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। সাভার মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেকে তিনি ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর যোগদান করেন। সাভার মডেল থানায় তিনি যোগদানের পর থেকে অপরাধ সিংহভাগই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এক সময় সাভারের মহাসড়কে অজ্ঞাত লাশ পরে থাকতো। কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রবে অতিষ্ট ছিল সাভারের মানুষ। মাদকের ভয়াল থাবায় জনজীবন বিপন্ন হতে চলেছিল। এমনি পরিস্থিতিতে ওসি দীপক চন্দ্র সাহা সাভারের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে বেগবান করা, প্রতিটি মহল্লার লোকজনের সাথে মত বিনিময় করা এবং স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময়ের মাধ্যমে গণসচেতনতা তৈরী করেন। গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান, তাঁর পরামর্শে মাদক বিরোধী ভিডিও চিত্র নির্মান করে সচেতনতা তৈরী করা, অসহায় ও দু:স্থদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করাসহ সামাজিক কাজেও অংশগ্রহণ করেন ওসি দীপক চন্দ্র সাহা। এই কারণে তিনি সাভার থানায় এই সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। সাভার মডেল থানায় সেবা নিতে আসা সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ওসি স্যারের কাছে পারিবারিক সমস্যা নিয়ে যাই। তিনি অনেক সময় ধরে আমার কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন। তারপর ডিউটি অফিসারকে ডেকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। সব সময় ওসি স্যারের দরজা আমাদের জন্য খোলা থাকে। সাইফুল ইসলামের মত ধরেন্ডার কল্পনা রানী, হেমায়েতপুরের ওমর ফারুক, পৌরসভার ছায়াবীথি এলাকার আব্দুল হালিম, বেদে পল্লীর ডলি আক্তারসহ অনেকেই বলেন, ওসি স্যার সব সময় আমাদের মনোযোগ দিয়ে শুনেন। এমনভাবে কখনও পুলিশ আমাদের কথা শুনেন নাই। মোবাইলে কল করলেও তিনি ধৈর্য্য ধরে আমাদের কথা শুনে পরামর্শ দেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেন। এই কারণে তার জন্য দোয়া রইলো। সাভারের সচেতন ব্যক্তিদের অনেকেই বলেছেন, ওসি দীপক চন্দ্র সাহা আমাদের প্রিয় ব্যক্তি। কখনও আইনগত সহায়তার জন্য গেলে তিনি কাউকে বিমূখ করেন না। সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা দেশ ও জনগণের সেবা করা এবং তাদের জান-মালের হেফাজতের শপথ নিয়ে চাকরীতে যোগদান করি। এই শপথকে বুকে ধারণ করলে একজন পুলিশ কখনও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। বর্তমানে আধুনিক পুলিশ সারাদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। যা বিগত ১৫/২০ বছর আগে ছিল না। সে সময় পুলিশ ছিল আতংক। বর্তমানে পুলিশ জনগণের বন্ধু।