নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, কমিশন আশ্বস্ত করেছেন যে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু এবং একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনেও কমিশন বদ্ধপরিকর। গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ও তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে ও দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা সিইসি বরাবর চিঠি দেন। তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিব এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, তৃণমূল বিএনপি বাংলাদেশের নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। তার চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এ বৈঠকে তারা খোলামেলা আলাপ করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন বরাবর ১২টি সুপারিশ তুলে ধরেছেন। সুপারিশগুলো তারা পরবর্তী সময়ে লিখিত আকারে আমাদের জানাবেন। ১২টি প্রস্তাবের মধ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের আইনগত যেসব দিক রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছেন। বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রে ফলাফল প্রকাশ, ভোটকেন্দ্র থেকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ফলাফল, প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের কাছে ফলাফল হস্তান্তর। এসব বিষয় আলোচনায় এনেছেন তারা।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রধান বাধা আইনশৃঙ্খলা প্রশাসন, সেটি নিয়ন্ত্রণে ইসির ভূমিকা জানতে চাইলে সচিব বলেন, প্রথম হচ্ছে আইন এবং সংবিধানের আলোকে কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, কমিশন সে ক্ষমতা সম্পূর্ণরুপে প্রয়োগ করবে এবং বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে মর্মে কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে। বিএনপি না এলেও তৃণমূল বিএনপি নিয়ে ভোটে যাবেন, এতেই সন্তুষ্ট? এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, না না না। যারাই নির্বাচনে আসবেন তাদের নিয়ে আইনানুগভাবে কমিশনকে যে ক্ষমতা দেয়া আছে, সংবিধানে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেটার শতভাগ প্রয়োগ করে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে কমিশন পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন। বৈঠক করার পরই এ বিষয় কমিশন আপনাদের অবহিত করবেন। এতে সব দলের আস্থা ফিরে আসবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী আসবে সেটি পরবর্তী সময়ের বিষয়। আইন যে ক্ষমতা কমিশনকে দিয়েছে সেটি প্রয়োগ করবেন মর্মে কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, উনারা যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন সে প্রস্তাবনার মধ্যে কিছু আছে কমিশনের এখতিয়ারে, কিছু আছে সরকারের এখতিয়ারে। সুতরাং যাদের সঙ্গে যেটার সম্পর্ক রয়েছে তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বসবেন। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা চাইবেন। তার আলোকে নির্বাচনটা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব কার্যক্রম গ্রহণ করবে।