ভীতি প্রদর্শন বন্ধের আহ্বান
বাংলাদেশে নির্বাচন ইস্যুতে অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করেনি জাতিসংঘ। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক এ কথা জানিয়ে আবারও বলেছেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই আমরা। একই সঙ্গে এমন একটি পরিবেশ দেখতে চাই, যেখানে মানুষজন যে কোনো পক্ষে কথা বলতে পারবে প্রতিশোধের ভয় ছাড়া। এছাড়া ম্যান্ডেট না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না জাতিসংঘ। তার কাছে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি জানতে চান- বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবে না। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক টিমের মূল্যায়নে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভয়েস অব আমেরিকার ইংরেজি সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, সব রকম উপায়েই বর্তমান বিরোধী দলকে আক্রমণ করে যাচ্ছে শাসকগোষ্ঠী। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জেনেছি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অবস্থান সম্পর্কে জেনেছি। বর্তমান এই নিষ্পেষণমূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতিসংঘের সর্বশেষ অবস্থান কি? তার এ প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মুখপাত্র ওই মন্তব্য করেন।
পিটার হাসের বাসায় নাগরিক সমাজের সঙ্গে আফরিন আক্তারের মতবিনিময়: নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার। গত সোমবার রাজধানীর গুলশানে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় এই মতবিনিময় হয়। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নাগরিক সমাজের কাজের ক্ষেত্র নিয়ে জানতে চান আফরিন আক্তার।
এতে যোগ দিয়েছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসির উদ্দীন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং চাকমা সার্কেলের রাণী য়েন য়েন। জানা যায়, এসময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে জানতে চান যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে অংশ নেয়া নাগরিক সমাজের একজন প্রতিনিধি গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় আমন্ত্রিতদের প্রায় সবাই জানান, বর্তমান নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক কোনো গণতান্ত্রিক ফল আশা করা উচিত হবে না। এ সময় আফরিন আক্তার অতিথিদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রও চায় জনগণ ভোট দিক। অবশ্যই যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে তাদের পছন্দ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার যথাযথ সুযোগ থাকে।