আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই, ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধের পরিধি অন্যত্র ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে হবে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
গতকাল শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। মেলোনি বলেন, যদিও আমাদের অবস্থানে অনেক দূরত্ব রয়েছে। আমাদের স্বার্থগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে হবে। গাজায় যা হচ্ছে সেটি যেন আরো বিস্তৃত দ্বন্দ্বে, একটি ধর্মীয় যুদ্ধে এবং সভ্যতার যুদ্ধে পরিণত না হয়।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি হামাসের লক্ষ্য ছিল এটি। ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় হামলা করেনি তারা। কিন্তু এমন একটি হামলা যেটি ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলিদের মধ্যে একটি অসংলগ্ন দূরত্ব তৈরি করবে। যার অর্থ এই হামলার লক্ষ্য আমরা সবাই, আমরা হামাসের এই ফাঁদে পড়তে পারি না। যেটি বোকার মতো কাজ হবে। কায়রোতে অনুষ্ঠিত এ শান্তি সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপান ও যুক্তরাজ্যের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন- মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ, বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-সাবাহ। ইউরোপ থেকে ছিলেন- ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস, সাইপ্রিয়ট প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডৌলিদেস, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা
আরো ছিলেন- জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি, নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ ইদে, রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাই জুন। উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে। এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করেছে। বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অ লে। সূত্র : আল-জাজিরা ও রয়টার্স