বাংলাদেশে উদ্বেগ প্রশমন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজতে সব পক্ষ শর্তহীন সংলাপে বসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবমূল্যায়ন করে এমন যেকোনো প্রতিক্রিয়া, ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা প্রদান, সহিংসতা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আমি আশা করি, সব পক্ষ শর্তহীনভাবে সংলাপে বসে সামনের দিকে এগোবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে নেবে। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাথে দেখা করতে যান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠক শেষে পিটার হাস সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পিটার হাস বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনকালে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া ভোট গ্রহণের বেশ আগে থেকেই শুরু হয়। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সরকার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভোটার, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব রয়েছে। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের হাতে কোনো অপশন নেই। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী কমিশনকে নির্বাচন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে অনেক অপশন থাকে। তারা একক বা জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে, আবার না-ও করতে পারে। কিন্তু কমিশনের হাতে এ ধরনের কোনো অপশন নেই। কমিশন নির্বাচনের জন্য দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে পিটার হাস: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিইসির নিজ কক্ষে তাদের বৈঠক শুরু হয় বলে মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন সিইসির একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন।
তিনি বলেন, বৈঠকে সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ও নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত রয়েছেন। জানা গেছে, তাদের আলোচনার একমাত্র এজেন্ডা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে চলতি বছরের ৮ই জুন ও ১লা আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তখন বৈঠক শেষে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামীতে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। নির্বাচনে কে বিজয়ী হবে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই। তার দেশ এমন একটি নির্বাচন চায়, যেখানে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতা নির্বাচন করবে।