শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন

ফুলবাড়ী পৌর এলাকায় ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় শুরু

ফুলবাড়ী(দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০

করোন ভাইরাস এর কারনে সার্বিক বিষয়ে সৃষ্ট সংকট ভাবিয়ে তুলেছে দিনাজপুর ফুলবাড়ী এলাকার মানুষকে। সরকারের নেয়া সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে এবং করোনা সংক্রমন থেকে বাঁচতে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে প্রায় ঘরে অবস্থান করছেন সবাই। এমন অবস্থায় খাদ্য সংকটে সবচেয়ে বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া নিন্ম আয়ের মানুষ তাদের বর্তমান ভরসাই অন্যের দেওয়া সাহায্য সহযোগীতা। তারা নির্দিধায় বৃত্ত্ববানদের কাছে চেয়ে বসছেন খাদ্য অথবা অর্থ। কিন্তু দির্ঘ ১২দিন বাসায় বসে থেকে বৌ বাচ্চা নিয়ে বিপদে পড়েছে মধ্য বিত্ত্বরা। তারা কারো কাছে চাইতেও পাছেনা আবার খুদার জ¦ালা সইতেও পারছেনা। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উদ্যোগে ১০টাকা করে চাল বিক্রির মাইকিং তাদের স্বস্তি এনে দেয়। সেই সস্তির চাল সংগ্রহ করতে তাদের খেতে হয়েছে হিমসিম। ৫০ হাজার মানুষের ভিড়ে ৪শত জন পাবে সেই ১০ টাকার কেজি চাল। লাজ লজ্জা ছেড়ে ১০টাকা কেজি চাল নিতে এসে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে পড়তে হচ্ছে তাদের। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রয়ের কথা থাকলেও মাত্র ২ ঘন্টায় ৪ শত জনের কোঠা শেষ হয়েছে বলে জানান ডিলাররা, সেকারনে চাল বিক্রয় বন্ধ। এর ভিতরে ভাগ্যের জোরে ১০ টাকা কেজি চাল পেয়েছে কেউ কেউ। এমন সিমাহীন বিপদে পড়েছে ফুলবাড়ীর পৌর এলাকার মানুষ গুলো।

পৌর মেয়র মানিক সরকার বলেন, পৌর এলাকার ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। মোট লোক সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষ বাড়ী থেকে বের হতে পারছেন না। এবং সকলের সকল প্রকার আয়ের উৎস বন্ধ। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাই এখন খদ্য সংকটে ভুগছে। আমরা সরকারের দেওয়া ত্রান যা পাচ্ছি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি এবং ব্যাক্তিগত ভাবে অনেকেই সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে খাদ্য অধিদপ্তরের ১০টাকা করে চাল বিক্রয়ের কথা শুনে অনেকে ত্রান বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে ১০টাকা দরে চাল নিতে এসে হাজার হাজার মানুষের ভিড় তৈরী হচ্ছে এতে বিভিন্ন রোগে সংক্রমন হওয়ার ঝুকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি মনে করি যদি সরকার বাহাদুর পৌর এলাকায় ১০ টাকা দরের চাল নুন্যতম ৪ হাজার মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে সাব ডিলার নিয়োগ দিয়ে চাল বিক্রয় করে তাতে পৌর এলাকার মানুষ কিছুটা সরকারে নেয়া এই উদ্যোগ ভোগ করতে পারবে। আমি সকল বিত্ত্ববানদের আহবান জানাবো যেন তারা অসহায় মানুষর পাশে দাঁড়ায়। ও যেকোন ত্রান বিরতনের পূর্বে ্আপনারা পৌরসভা অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করুন।

ই-খ/খবরপত্র




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com