সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নিপুন-নওশাবা-কনকচাঁপাসহ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য হলেন যারা হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার জন্য অনুসরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন : প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হবে : চিফ প্রসিকিউটর দেশ পুনর্গঠনে মার্কিন সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা এমপি আনার হত্যা মামলা: প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছালো এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যে পড়ে, এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য: শাহরিয়ার নাজিম জয় পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে আলোচনা হয়েছে : উপদেষ্টা বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের ঐক্য চাইলেন মামুনুল হক মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা কেজরিওয়ালের

ভোলায় আমনের বাম্পার ফলন সম্ভাবনা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

জেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬৮ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় আমনের মোট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৮ হেক্টর জমিতে। বিপরীতে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৬ হেক্টর। মাঠে বর্তমানে ফসলের অবস্থাও বেশ ভালো রয়েছে। ফসল কর্তনও শুরু করেছে কৃষকরা। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, নির্ধারিত জমি থেকে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৩ মে:টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এতে হেক্টরপ্রতি চাল পাওয়া যাবে ২ দশমিক ৯৩ মে:টন। এছাড়া সরকারিভাবে জেলার ১১ হাজার কৃষককে ১ বিঘা জমির অনুকূলে উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে কৃষকরা ফসল কাটা শুরু করেছেন। আগামী মাসের প্রথম দিকের মধ্যে শতভাগ জমির ফসল কাটা হয়ে যাবে বলে কৃষি অফিস জানায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ অফিসার মো: হুমায়ুন কবির বাসস’কে বলেন, জেলায় মোট আমন আবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় হয়েছে ২৩ হাজার ৮০০ হেক্টর, দৌলতখানে ১৪ হাজার ৪২০, বোরহানউদ্দিনে ১৮ হাজার ১৫০, তজুমদ্দিনে ১১ হাজার ৮৬০, লালমোহনে ২৩ হাজার ৬০০, চরফ্যাশনে ৭১ হাজার ৮০৬ ও মনপুরায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি রয়েছে। এছাড়া জেলায় এবার বিভিন্ন প্রকল্পের অওতায় প্রায় ১ হাজার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সদর উপজেলার রাজাপুর উনিয়নের কৃষক ফরাজ হোসেন, রুস্তম আলী ও লোকমান সুলতান বলেন, তারা ৫ একর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন। এবছর বড় কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হওয়ায় তাদের ফসলের মাঠ ভালো রয়েছে। কৃষি অফিস থেকে পাচ্ছেন সব ধরনের পরামর্শ সেবা। বর্তমানে ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তারা। অপর কৃষক আনোয়ার হোসেন ও সিদ্দিকুল্লা বলেন, এখন আর ধান কাটার জন্য শ্রমিক খুঁজতে হয়না। মেশিনের মাধ্যমে স্বল্প টাকা ও সময়ে অনেক বেশি ধান কাটা হয় বলে জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: হাসান ওয়ারিসুল কবীর বাসস’কে বলেন, জেলায় এবছর আমনের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। রোগ-বালাই’র তেমন প্রভাব ছিলোনা। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। ব্রী-ধান ৫২,৪০, ৪৪, ৭১, স্বর্ণাসহ বেশ কিছু জাতের আবাদ হচ্ছে ভোলায়। তবে এর মধ্যে ব্রী-ধান ৭১ বেশ সম্ভাবনাময় একটি জাত। কৃষদেরও বেশ পছন্দ এ জাতটির। এটি আগাম কাটা যায়।
তিনি আরো বলেন, জেলায় প্রায় সোয়া ৩ লাখ কৃষক আমন চাষের সাথে যুক্ত রয়েছেন। আমরা তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূূূূূূূূূূলে থাকলে জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের কথা জানান জেলার প্রধান এ কৃষি কর্মকর্তা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com