রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

প্যারোলে মুক্তি পেয়েও শেষবারের জন্য মায়ের মুখ দেখা হলো না

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩

বৃদ্ধা রহিমা বেগমের (৭২) ছেলে আব্দুর রউব জেলে বন্দী। তার স্বামী ইয়ার উদ্দীন মারা গেছেন প্রায় ১৩ বছর আগে। প্রতিবেশীদের ভাষ্য, মায়ের নয়নের মণি ছিল ছেলে রউব। মাকে রেখে কোথাও গিয়ে রাত কাটাতেন না রউব। অথচ পুলিশের দায়ের করা নাশকতার মামলায় সেই ছেলে মায়ের চোখের আড়াল প্রায় এক মাস। তাই সারাক্ষণ বৃদ্ধা মায়ের চোখের পানি ঝরত। হাউমাউ করে কান্না করতেন দুই অবুঝ নাতিকে জড়িয়ে ধরে। ছেলেকে শেষবারের মতো একবার দেখার আকুতি ছিল তার। তবে তা অপূর্ণই থেকে গেল। মাকে শেষ বিদায় জানাতে প্যারোলে তিন ঘণ্টার (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা) জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন রউব। কিন্তু এর আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন বৃদ্ধা মা। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে আব্দুর রউফের মা নিজ বাড়িইে মারা যান। গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার জানাজা শেষে দাফন করা হয় গ্রাম্য কবরস্থানে। রউবের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চারুলিয়ায়। রউব বেলা ১১টার দিকে চারুলিয়ায় নিজ বাড়িতে পৌঁছালে তখন পরিবারের লোকজন তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের কান্না আর আকুতিতে কেদেছেন অন্যরাও।
মাকে শেষবারের মত দেখতে তিন ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পান আব্দুর রউফ। মুক্তিতে মায়ের জানাজা নামাজে শরিক শেষে দাফন কার্য সম্পন্ন করে পরিবারের লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এসময় জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিমসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির বলেন, মায়ের মৃত্যুর কারণে রউবকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলে সাথে থাকা জেলা পুলিশ তাকে আবারো জেল হাজতে নিয়ে যায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com