সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন

বশেফমুবিপ্র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আহ্বায়কের বিরুদ্ধে দরপত্র জমাদানে বাধার অভিযোগ

জামালপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

জামালপুরের মেলান্দহের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে দরপত্র জমাকালে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী চারজন ঠিকাদার। পরে দরপত্র কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা কাওসার আহমেদ স্বাধীন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এবং ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। অভিযোগকারী ঠিকাদাররা হলেন মেসার্স শহীদুর রহমান, মেসার্স এস আর এস এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স লাবনী এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স আদি এন্টারপ্রাইজ। লিখিত অভিযোগ সূত্র জানায়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাস্তা মেরামত ও দেয়াল সংস্কারের জন্য গত ২২ নভেম্বর দরপত্র (যার প্যাকজ নম্বর ড-০৮/২০২৩) আহ্বান করা হয়। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ছিল দরপত্র জমাদানের শেষদিন। এদিন সকালে ঠিকাদাররা দরপত্র জমা দিতে যান। এসময় কাওসার আহমেদ স্বাধীনের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ ছাত্রলীগ নেতা তাদের দরপত্র জমা দিতে বাধা দেয়। ছাত্রলীগ নেতাদের মহড়ায় ঠিকাদাররা ভয়ে চলে যান। ভুক্তভোগী ঠিকাদার মেসার্স আদি এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন খোকন জানান, বাধা প্রদান করায় আমরা দরপত্র জমা দিতে পারিনি। পরে ভুক্তভোগী চারজন ঠিকাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ইতোপূর্বেও ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাওসার আহমেদ স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন কাজেও ঠিকাদার মেসার্স আরাবি এন্টারপ্রাইজকে বাধা প্রদান করেছিলেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকাদাররা জানান। অভিযোগ প্রসঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাওসার আহমেদ স্বাধীন মুঠোফোনে জানান, আমরা রেজিস্ট্রারের কাছে নিজেদের হলের কিছু সমস্যা জানাতে আর্জি নিয়ে গিয়েছিলাম, এসময় ঠিকাদাররা তার রুমে গেলে তাদের বলি যে, আপনারা ৫-১০ মিনিট পরে আসেন। এ বিষয়টিই তাদের ইগোতে লেগেছে। ঠিকাদারদের সাথে এর বাইরে কোনো কথাই হয়নি দাবি করে তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, তারা অতিপলিটিক্যাল লোক, তাই তারা বিশ্ববিদ্যালয়টি পৈতৃক মনে করেন। এব্যাপারে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। তবে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তারপর দরপত্র কার্যক্রম আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com