গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার (জিএমপি) মো. মাহবুব আলম বলেছেন, এবার একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ইজতেমাস্থল ও এর আশেপাশে কোথাও হকারকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। কারো সহযোগিতায় যদি হকার বসে তাহলে হকার এবং তাকে অবস্থান করতে আশ্রয় দাতা বা সহায়তাদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোববার সকালে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আইনশৃঙ্খলার চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা ও ময়দান পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদেও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জিএমপি কমিশনার ওইসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, কামারপাড়া রোডসহ ইজতেমা এলাকায় কোন প্রকার অবৈধ দোকান এবং হাকারকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। অন্যান্য স্থায়ী দোকানী যারা আছে তাদের দোকানের সামনে যদি কোন হকার বা অবৈধ দোকান বসায় তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। দু’পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিবছর তাদের মধ্যে যে দাবি-দাওয়া নিয়ে সমস্যাটা সে ব্যাপরে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। প্রথম পক্ষ ইজতেমা শেষ হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোন প্রকার ভাংচুর ছাড়া মাঠের ছামানা প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে ময়দান ত্যাগ করবে। আবার একইভাবে দ্বিতীয় পক্ষও তাদের ইজতেমা শেষে নির্ধারিত সময়ে প্রশাসনের কাছে মাঠ ও সরঞ্জামাদি শান্তিপুর্ণভাবে হস্তান্তর করবে। দু’পক্ষের মধ্যে সুন্দরভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সমঝোতা হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে ইজতেমার মুসুল্লীদেও সকল নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। এবারের ইজতেমায় জিএমপির ৬ সহস্রাধিক আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য ছাড়াও র্যাব, ডিএমপি, পোশাকে ও গোয়েন্দাবাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য দায়িত্বপালন করবেন। ইজতেমার প্রস্তুতির পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, জিএমপি কমিশনার মো. মাহবুব আলম, উপ-পলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ, মো. ইব্রাহিম খান, ডিএিমপি’র প্রতিনিধি, ইজতেমার দুইপক্ষের মুরুব্বী ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আগামি ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে এবারের বিশ্বইজতেমার প্রথম পর্ব। এ পর্ব চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আবার চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার ২য় পর্ব শুরু হয়ে তা চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।