বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মরহুম এ.কে.এম ফজলুল হক মিয়ার জেষ্ঠ্য কন্যা মোনা হক ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বিএ (অর্নাস) সহ মাষ্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। খুলনা বেতারে বাংলা ও ইংরেজী সংবাদ পাঠিকা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীঘদিন যাবত। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজী ও বাংলা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকারী। ঢাকা ভার্সিটিতে অনার্স পড়াকালিন ইন্টারমিডিয়েটের রেজাল্টের জন্য পর পর ৩ বছর একাডেমিক উমা বৃত্তি লাভ। বিটিভিতে নতুন কুঁড়ি, কিশোরমেলা ও গ্র্যান্ড শোতে অংশগ্রহন এবং ছোট্ট খবর পড়া। ইন্টারমিডিয়েট থেকে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত স্কলারশীপ প্রাপ্ত। বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিশু শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন সময়ে অংশগ্রহন ও পুরস্কার প্রাপ্ত। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি এবং সেনাবাহিনীর জীবনে আবৃত্তি, রবিন্দ্র সংগীত, বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা। জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে ১৮ টি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে পুরস্কার প্রাপ্ত। অগ্রণী স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকারী। তিনি ছায়ানটের প্রশিক্ষন প্রাপ্ত। বর্তমানে তিনি করেন। আওয়ামী রাজনীতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখিনা গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার পিতা মরহুম এ,কে,এম ফজলুল হক মিয়া, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার নড়াইল গ্রামে ১৯৩৭ সালের ১৮ই জানুয়ারী জন্মগ্রহন করেন যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ্য আপোষহীন কর্মী হিসেবে তার জীবদ্দশায় দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিনি ১৯৭৫ সালে রাঙ্গামাটির এডিসি থাকাবস্থায় বঙ্গবন্ধু শাহাদাৎ বরণের পরের দিন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শাহাদাৎ বরণে মাগফেরাতের জন্য একটি দোয়ার মাহফিল করেন। যার জন্য পরবর্তীতে তাকে বহুবিধ প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয় এবং তাকে ০৭ দিনের মধ্যে জার্মানিতে প্রশিক্ষনের জন্য প্রেরণ করা হয়। ১৯৮০ সালে রংপুরের ডিসি হিসাবে নিযুক্তি পান কিন্তু যোগদানের পূর্বেই বাড়ী গোপালগঞ্জ ও আওয়ামীপন্থী হওয়ায় তার নিযুক্তি বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে এরশাদ ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সনে তাকে ওএসডি করা হয়। এছাড়া ১৯৯২ সালে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার থাকাবস্থায় বিএনপির তৎকালীন স্পীকার মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের রোষানলে পড়ে প্রায় পাঁচ বছর চাকুরী থাকাবস্থায় প্রথম সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন এবং ১৯৯৩ হতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তাকে কুমিল্লার নির্বাচনকালীন সমন্বয়কের দায়িত্ব প্রদান করেন। ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় লাভ করায় ২৩ জুন ১৯৯৬ সালে বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের প্রস্তুতি কালে তীব্র হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পিতার মৃত্যুর পর তার জেষ্ঠ্য কন্যাা মোনা হক জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে মোনা হক গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এবং এবং যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি প্রতি বছর এলাকার দরিদ্র জনগনের প্রয়োজনে শীত বস্ত্রবিতরণ, খাবার বিতরণ, নগন অর্থ প্রদান, রিকসা/ভ্যান বিতরণ, সেলাই মেশিন বিতরণ, চিকিৎসা খরচ প্রদান, নিজস্ব ব্যবসায়িক ফ্যাক্টরিতে দরিদ্র বেকার যুবককে চাকুরী প্রদানসহ বিভিন্ন সহযোগীতা প্রদান করে আসছে। উল্লেখ্য এবছর গোপলগঞ্জের মোকসেদপুর ও কাশীয়ানীতে দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে ৩৩০০ কম্বল বিতরণ করেন। তিনি এ যাবতকাল ২০৬টি গৃহহীন পরিবারকে জমি দিয়ে ঘর-বাড়ি তৈরি, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছেন। সুতরাং তিনি প্রত্যাশা করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী তার বাবার অবদান এবং মোনা হকের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাকে মূল্যায়ন করে দ্বাদশ সংসদে গোপালগঞ্জের সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে মনোনয়ন প্রদান করবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।