মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দাম নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর চিন্তা করছে সরকার ‘গণমাধ্যম যোগাযোগে ইসলামী মডেল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সবপক্ষের সাথে আলোচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ঘোষণা করা হবে : উপদেষ্টা নাহিদ আবরার ফাহাদ হত্যা : বুয়েটে কী ঘটেছিল ৫ বছর আগে স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসন হলে দেশে মানুষ বাস করতে পারবে না : রিজভী হাজী সেলিম, সৈকত ও মানিককে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বন্যায় ফসল হারিয়ে মাথায় হাত তিস্তা পাড়ের কৃষকদের চীন-ভারত নয়, জাপানের অর্থায়ন হচ্ছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর সেপ্টেম্বরে সড়কে ঝরেছে ৪২৬ প্রাণ, ৪২ শতাংশই মোটরসাইকেলে যারা কাজে যোগ দেননি তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু: আইজিপি

ডলার সংকট কিছুটা কমেছে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

দেশে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ডলার সংকট। এ কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলতে পারেনি। লাগামহীন বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যায় ডলারের দর। এর মধ্যেই কারসাজিতে জড়িয়ে পড়ে অনেক ব্যাংক-মানি চেঞ্জার। ফলে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে বাজার। কারসাজিতে জড়িত ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারকে জরিমানাও করা হয়। এরপরও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং খোলা বাজারে ডলারের দাম ওঠে ১২৭ টাকায়। এরপর নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নানামুখী উদ্যোগ নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বাজার স্বাভাবিক রাখতে রিজার্ভ থেকে ডলার ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভেও পড়ে টান। তবে সংকট নিরসনে ডলার নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকগুলো। সবমিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি নানান উদ্যোগে দেশে মার্কিন ডলারের সংকট কিছুটা কমে এসেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলসি পেমেন্ট দিতে না পারায় একসময় প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কেনায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল ব্যাংক। ফলে প্রতি ডলারের দাম উঠেছিল ১২০ টাকায়। তবে এখন প্রবাসী আয়ের ডলার ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে। প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম কমায় ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকায় নেমে এসেছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোতে যে তারল্য সংকট ছিল, সেটাও কমে এসেছে কিছুটা। খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ডলার সংকট কমে আসার পেছনে কয়েকটি উদ্যোগ কাজে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি আরোপের কারণে আমদানি কমে আসা। একইভাবে ডলারের দাম নিয়ে কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে আসায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকা অদল-বদলের (সোয়াপ) সুবিধার কারণে সংকট কিছুটা কমে এসেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। দুই দেশের এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে। এতে আমদানি খরচ হঠাৎ বেড়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২২ সালের জুনে ৮৩৭ কোটি ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এলসি খোলার বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত নগদ টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়। এর ফলে কমতে থাকে আমদানি দায়। কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আমদানি দায় পরিশোধ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। এ মাসে আমদানি দায় পরিশোধ হয় ৪৬৭ কোটি ডলারের। তার আগের মাস জানুয়ারিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয়েছিল ৫৯৬ কোটি ডলারের। আমদানি দায় পরিশোধ হলো সংশ্লিষ্ট মাসের প্রকৃত ডলার খরচ। ফলে এ হিসাবে দেখা যায় ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমে এসেছে।
এরই মধ্যে সুবাতাস বইছে রেমিট্যান্সে। ধারাবাহিকভাবে কিছুটা উন্নতির দিকে অর্থনীতির অন্যতম এ সূচক। গত ডিসেম্বরে প্রায় দুই বিলিয়ন বা ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এর পরের মাস জানুয়ারিতে আসে ২১১ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়ায় ২১৬ কোটি ডলারে। চলতি মার্চের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। স্বাধীনতার এ মাসে রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে- এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com