জামার্নে অর্থনীতিতে উচ্চ ডিগ্রীতে অধ্যয়নরত আল ইসলাম(২৭) গত সোমবার রাত ৯ টার দিকে ভৈরব বাজারস্থ লঞ্চ টার্মিনালে সিঁিড় থেকে পানিতে পড়ে মারা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসে লঞ্চে উঠার সময় সে মেঘনা নদীর পানিতে ডুবে যায়। তৎক্ষনাত নদীতে থাকা স্থানীয় ডুবুরীরা প্রায় ১ ঘন্টা পর আল ইসলামকে উদ্ধার করে। এছাড়াও ভৈরব ফায়ার সার্ভিস কর্মীগন এবং ভৈরব নৌ থানা পুলিশ উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত আল ইসলাম পৌর এলাকার চন্ডিবের দক্ষিনপাড়া গ্রামের হাজী আলউদ্দিন মিয়ার পুত্র। নিহতের পিতা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন-পরিবারের সবাইকে সারপ্রাইজ দিবে বলে কাউকে না জানিয়ে ২ সপ্তাহ আগে আল ইসলাম ৩ সপ্তাহের ছুটিতে দেশে আসে। আগামী সপ্তাহের ফ্লাইটে জার্মান যাবার কথা থাকলেও ছেলে আমার খাটিয়ায় চড়ে কবরে চলে গেল। রাতে বাইম মাছ দিয়ে ভাত খাবে বলে সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। মঙ্গবার সকাল ১০ টায় গ্রামের হাজী আসমত আলী ঈদগা মাঠে জানাযা শেষে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা সুলায়মান, ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ হুমায়ুন কবির, ভৈরব প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু, পৌর মেয়র, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গভীর শোক এবং মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মৃত্যূ ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।