আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সামনের সারিতে এনে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চর বেউথা এলাকায় অবস্থিত পাইনাপেল সিল্ক উৎপাদন কেন্দ্রে সিল্ক সুতা ও কাপড় তৈরি পরিদশনকালে এই কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক সুতা উদ্ভাবক মাছুদা ইসলাম দীর্ঘ ১৬ বছর এই আনারসের পাতা নিয়ে কাজ করেছেন। ফলে আজ আনারসের পাতার আঁশ থেকে কাপড় তৈরী এক যুগান্তকারী মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। আনারসের পাতা থেকে উৎপাদিত পন্য কিভাবে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়া যায় এবং পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে কিভাবে এই শিল্পকে সামনের সারিতে আনা যায় সেব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগীতা করা হবে। এই সিল্কের সুতার তৈরি শাড়ী, জামদানী ও বিভিন্ন হস্তশিল্প দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। উদ্ভাবক উদ্যোক্তা মাসুদা ইসলাম বলেন, মধুপুর, টাঙ্গাইল-এর জলছত্র এলাকা আনারসের জন্য বিখ্যাত। ২০০৭ সাল থেকে আনারসের পাতা নিয়ে কাজ করছেন। সাধারনত আনারস খেয়ে তার ছাল এবং পাতা ফেলে দেয়া হয়। সেই ফেলনা জিনিস হতে সুতা তৈরী করে তা থেকে কাপড় বানানোর উদ্ভাবনী উদ্যোগ প্রশংসার দাবী রাখে। আজ আনারসের পাতার আঁশ থেকে কাপড় তৈয়ারী এক যগান্তকারী মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এই আনারসের ফাইবার নিয়ে কাজ করছেন মাসুদা ইসলাম। আনারস ফলের পরিত্যাক্ত পাতা যা মনুষ ফেলে দিত, তা আজ অনেক মূল্যবান বস্তু হিসাবে কাজে লাগাতে পারছে। বানিজ্যিকভাবে এ কাজ শুরু হওয়ায় মানিকগঞ্জ জেলার বহু বেকার নারী ও তাঁতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। পরিদর্শনকালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.আবু সালেহ মোঃ মোস্তফা কামাল, জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আব্দুল বাতেন উপস্থিত ছিলেন।