মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
পটিয়ায় থামানো যাচ্ছে না মাটি কাটা নান্দাইলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এড. কাজী আরমান কটিয়াদীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, বোরো ধান রোপন নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা ভালুকায় জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও তারুণ্য উৎসব টঙ্গীতে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন লামা অবৈধ ৪ ইট ভাটায় যৌথ অভিযান : ১১ লাখ টাকা জরিমানা পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত শ্রীমঙ্গলের ‘বাইক্কা বিল’ কয়রা শাকবাড়িয়া খালের উপর সেতু নির্মান কাজ শুরু আশার প্রতিফলন এলাকাবাসীর ফটিকছড়িতে শহীদ জিয়ার নামে টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি নৌকার চেয়ারম্যান! কারণ দর্শানোর নোটিশ

শ্রীমঙ্গলে বৃষ্টি হওয়ায় চা-বাগানগুলোতে নতুন প্রাণের সঞ্চার

এহসান বিন মুজাহির (শ্রীমঙ্গল) মৌলভীবাজার
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

২১ ঘন্টায় ১৪৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টানা তীব্র খরার পর কাঙ্খিত বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা বাগানসহ প্রাকৃতিক রুক্ষতা ঝরে গাছ-গাছালিতে কিছুটা ফিরেছে সবুজ প্রাণ। এই প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাত চা বাগানের জন্য অনেক উপকারি বলে জানিয়েছেন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা। শ্রীমঙ্গলে গত ২১ ঘন্টায় ১৪৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত আবহাওয়া অফিস পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গত রবিবার বিকেল ৩টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২১ ঘন্টায় ১৪৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (৮ মে) শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিধারা গায়ে মেখে চা-বাগানগুলোয় চোখ মেলতে শুরু করেছে পাতা-কুঁড়িরা। একাধিক চা-বাগান মালিকরা জানান, বৃষ্টির অভাবে তীব্র খরার কবলে পড়ে চা গাছগুলো ঝলসে পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছিল। চা-বাগানে রেড স্পাইডার ও হেলোপেলটিস মশার আক্রমন দেখা দিয়েছিল। এমন সময় বৃষ্টি চা উৎপাদক মহলে এনে দিয়েছে স্বস্তি। এই প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাত চা বাগানের জন্য অনেক উপকারি বলে জানিয়েছেন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা। চা বাগানের মালিকরা বলেন, দীর্ঘ খরার পর এই বৃষ্টি যেন ‘আশীর্বাদ’ হিসেবেই এসেছে। তারা জানান, কয়েক মাসে তীব্র খরা এবং নানা রোগের কারণে চা উৎপাদন মারাত্মক হ্রাস পেয়েছিলো। মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে লাল মাকড়সার আক্রমণসহ পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। সব মিলিয়ে মৌসুমের শুরুতে অর্ধেকের কম উৎপাদন হচ্ছে চা বাগানে। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, রবিবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। বৃষ্টির সাথে হয়েছে শিলাবৃষ্টিও। এরপর রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮৯.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বাংলাদেশীয় চা সংসদের (বিটিএ) সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ও অধিক তাপমাত্রার কারণে বাগানে নতুন পাতা না আসায় উৎপাদন কমে গিয়েছিল। নতুন কুঁড়ি না আসা, পানির সংকট, লাল মাকড়সার আক্রমণ প্রায় সব চা বাগানেই ছিল। এই বৃষ্টিপাতের ফলে চা গাছগুলো সজীবতা ফিরে পেয়েছে। এখন চা গাছে দ্রুত নতুন কুঁড়ি আসবে, প্লাকিং শুরু হবে। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট এর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ও অধিক তাপমাত্রার কারণে বাগানে নতুন পাতা না আসায় উৎপাদন কমে গিয়েছিল। নতুন কুঁড়ি না আসা, পানির সংকট, লাল মাকড়সার আক্রমণ এখন প্রায় সব চা বাগানেই বিদ্যমান ছিল। তীব্র খরার কারণে চা বাগান কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন চা বাগানের ইরিগেশন (সেচ) দিয়েও চা গাছগুলোকে শতভাগ রক্ষা করতে পারছিলেন না। প্রচন্ড দাবদাহের পর টানা বৃষ্টি চা গাছগুলো তার আপন সজিবতা ফিরে পাাচ্ছে। আশাবাদি এখন চা গাছে দ্রুত নতুন কুঁড়ি আসবে। প্লাকিং শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার ওপরে চা উৎপাদন হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com