ইসলাম এবং ঐক্য, এক ও অবিচ্ছেদ্য। ঐক্য ছাড়া ইসলামের ওপর টিকে থাকা যায় না। এজন্য বেশির ভাগ ইবাদতেই ঐক্যের দিকে আহ্বান করা হয়। যেমন- জামাতে নামাজ, জুমার নামাজ, ঈদের নামাজ ও হজ। রোজা ক্ষুধা যন্ত্রণার অনুভূতি জাগ্রত করে অপরের সহানুভূতির প্রেরণার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। জাকাত সমাজে গরিবি দূর করে শান্তি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে। এমনিভাবে প্রত্যকটি ইবাদতে শুধু ঐক্যের আহ্বান, ভ্রাতৃত্বের আহ্বান। নামাজ, রোজা ইত্যাদি যেমন ইসলামের মৌলিক ফরজ। ঐক্য বা ভ্রাতৃত্বও ইসলামের মৌলিক একটি ফরজ। ঐক্য ছাড়া ইসলামের বিজয় আসেনি এবং ঐক্য ছাড়া ইসলামের বিধানও পুরোপুরি মানা যায় না। মুসলমানদের ঐক্য ছাড়া ঈমানের ওপর অটল থাকাও কঠিন হয়ে পড়ে। অন্য দিকে ইসলামী সমাজ ঐক্যের সমাজ, তার জীবন চলার পথ সহজ করে দেয়। ঐক্যের সমাজে কেউ নিপীড়িত নিষ্পেষিত হয় না। নিজের অধিকার থেকে কেউ বি ত হয় না। কেউ কারো সম্মানহানী করতে পারে না। জালেম জুলুম করতে পারে না। ইসলামের দুশমনও মুসলমানদের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের সাহস করতে পারে না।
সূরা আল ইমরানের ১০৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ তায়ালার রজ্জুকে ঐক্যবদ্ধভাবে আঁকড়ে ধরো, তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ সূরা তওবার ৯২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘এই যে তোমাদের জাতি তোমরা একই উম্মাহ, আমি তোমাদের প্রভু তোমরা সবাই আমার ইবাদত করো।’ সূরা হুজরাতের ১০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘সব মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই’।
রাসূল সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি জান্নাতের সর্বোত্তম অংশে বসবাস করে আনন্দিত হতে চায় সে যেন ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরে।’ (তিরমিজি)
রাসূল সা: বলেন, ‘মুমিনগণ একটি দেহের মতো, তার চোখ আক্রান্ত হলে পুরো শরীর আক্রান্ত হয়, তার মাথা আক্রান্ত হলে পুরো শরীর আহত হয়।’ লেখক : প্রবন্ধকার