মোস্তাফিজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারলো না যুক্তরাষ্ট্র। বাঁ-হাতি এই পেসার একাই ভেঙে দিয়েছেন তাদের ইনিংসের মেরুদ-। মাত্র ১০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি, তাতে কোনো রকমে এক শ’ পাড়ি দিতেই শেষ স্বাগতিকদের ইনিংস। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আজ (শনিবার) যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। হিউস্টনের প্রেরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে খেলে দুই দল। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে মাত্র ১০৪ রান তুলে যুক্তরাষ্ট্র ৯ উইকেট হারিয়ে।
অথচ শুরুটা দারুণ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের শাসন করছিলেন দুই ওপেনার। শায়ান জাহাঙ্গীর ও আন্দ্রে গোস মিলে ৪.৫ ওভারে তোলেন ৪৬ রান।
তবে ওভারের শেষ বলেই তাদের দৌড় থামান সাকিব আল হাসান। উদ্বোধনী জুটি ভেঙে ফেরান আন্দ্রে গোসকে। সিরিজে যা সাকিবের প্রথম উইকেট। গোস আউট হন ১৫ বলে ২৭ রানে। পরের ওভারে মোস্তাফিজ দেখা দেন ভয়ংকর রূপে। কোনো রান না দিয়ে ফেরান শায়ানকে। ২০ বলে ১৮ করেন এই ব্যাটার। ৭ বলের মাঝে জোড়া উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর চাপ ধরে রাখেন রিশাদ। উইকেট তুলতে না পারলেও তুলে নেন মেইডেন ওভার। তবে উইকেট আসে ১০ম ওভারে মোস্তাফিজের হাত ধরে। নিতিশ কুমারকে ফেরান ৩ (৯) রানে। তাতে ৯.৪ ওভার শেষে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৫৬ রান।
তবে এরপরও ছাড় দেয়নি টাইগাররা। দ্রুত আরো দুটো উইকেট তুলে নেন রিশাদ-তানজিম মিলে৷ মার্কিন অধিনায়ক এন্ড্রু জোনসকে ৭ বলে মাত্র ২ রান তুলতেই ফেরান তানজিম সাকিব। ১২.২ ওভারে এসে মিলিন্দ কুমারকে (৭) ঝুলিতে পুরেন রিশাদ।
ইনিংস জুড়ে দারুণ বল করেন রিশাদ। আর কোনো উইকেট না পেলেও চার ওভার বল করে মাত্র ৭ রান দেন তিনি। তবে দলের সেরা বোলার ছিলেন মোস্তাফিজ। মাত্র ১০ রান দিয়ে তুলে নেন ৬ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ার সেরাও বটে। ১৮তম ওভারে এসে জোড়া উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। ১৭.৩ ওভারে সিধলেকে ১২ রানে ফেরানোর পর ১৭.৫ ওভারে ফেরান সাবেক কিউই অলরাউন্ডার কোরি আন্ডারসনকে। ১৮ বলে ১৮ রান করে বোল্ড হন তিনি। ৯৪ রানে ৭ উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। শেষ ওভারে এসে আবারো জোড়া আঘাত আনেন মোস্তাফিজ। জশদ্বীপ সিং ও নিসর্গ প্যাটেলকে ফেরান তিনি। তাতে ৯ উইকেটে ১০৪ রানে শেষ হয় যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস।