ঈদে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অনেক খাবার খাওয়া হয়। বিশেষ করে ঈদুল আজহায় তেল মসলাযুক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হয়। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের পরে কোল্ড ড্রিংকস পান করে স্বস্তি খোঁজেন কেউ কেউ। কিন্তু এতে একদিকে হজমে সমস্যা অন্যদিকে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। উৎসবে তেল মসলাযুক্ত ভারী খাবার খাওয়ার পরে সুস্থতার জন্য দই বা বোরহানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ জাহানারা আক্তার সুমি রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন, দই এবং বোরহানিতে প্রোবায়োটিকের মতো উপকারি ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোব্যাসিলাস রয়েছে। যা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। কারণ প্রোবায়োটিকগুলো অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধংস করে। যার ফলে বদহজম, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা দই খেতে পারেন। কারণ দইয়ে অন্ত্রের প্রদাহবিরোধী গুণ রয়েছে। এ ছাড়া দুধ পান করলে যাদের সমস্যা হয় বা যাদের দুধের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা রয়েছে তাদের জন্যও দই অনেক উপকারী।
এই পুষ্টিবিদ আরও বলেন, দুধের সব পুষ্টিগুণ দইয়ে রয়েছে এর পাশাপাশি প্রোবায়োটিকগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় দই বেশি স্বাস্থ্যকর মনে করা হয়। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য দই ভালো। যাদের ডায়াবেটিস, হাই প্রেসার, অতিরিক্ত ওজন এবং লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদেরও উচিত দই খাওয়া।
বিভিন্ন উৎসব বা অনুষ্ঠানে যখন অনেক বেশি তেলযুক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায় তখন আমাদের অবশ্যই সচেতন ভাবে খাবার তালিকায় দই বা বোরহানি রাখতে হবে। যাতে করে খাবার ভালোভাবে হজম হয়। – রাইজিংবিডি.কম