নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে আগুন লেগেছে। এসময় তেলের ড্রামগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেছে। ঘটনার সময় ট্রলারের ভেতর চারজন শ্রমিক ছিলেন। এদের মধ্যে একজন পাড়ে উঠতে পারলেও বাকি তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আজম মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী। এদিকে তেলের ড্রামের বিস্ফোরণের শব্দে আশেপাশের মসজিদ, বাসাবাড়ি, সংলগ্ন থানা ও আশেপাশের এলাকা কেঁপে উঠে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মেঘনা ডিপোর ডিএস জিয়াউর রহমান জানান, এই ট্রলারে করে তেল নিয়ে তারা ভোলার মনপুরায় যাবে। কিন্তু দুপুরে রান্না করার সময় তেলাবাহী ট্রলারটিতে আগুন লেগে যায়। এতে ট্রলারে থাকা পেট্রোল, ডিজেলের ড্রামগুলো বিস্ফোরিত হয়। ডিপো সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রলারের ভেতরে চারজন ছিল। তারা ভেতরে রান্না করছিল। এসময় সেখান থেকে হয়তো এ ঘটনা ঘটেতে পারে। এর মধ্যে একজন পাড়ে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ আছে।
জানা যায়, ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সবগুলো তেলবাহী ড্রাম অগ্নিকা-ের ঘটনায় বিস্ফোরিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, আমরা খবর পেয়েছি, দ্রুত ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।
ঘটনাস্থলে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ডিপোর সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি। আমরা যতটুকু জেনেছি ট্রলারটিতে ডিজেল ও পেট্রোল লোড করা ছিল। এসময় তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে চারজন শ্রমিক রান্না করছিল বলে শুনেছি। হয়তো সেখানে থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। একজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, বাকি তিনজনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।