মানিকগঞ্জে কুকুরের কামড়ে মারাত্মক আহত হয়েছে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ প্রায় ৬০ জন। রোববার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৫ঘন্টায় কমপক্ষে এত সংখ্যক মানুষকে কামড়িয়েছে ক্ষাপা কুকুরগুলো। আহতরা জেলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসাসেবা নিয়েছে। কুকুরের কামড়ের বেশির ভাগ রোগী মানিকগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সেওতা এলাকার। জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো: বাহা উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরজমিনে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দেখা যায়, কারও হাতে আবার কারও পাঁয়ে কুকুর কামড় দিয়ে মাংস ছিড়ে নিয়ে গেছে। আহতরা ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন। কুকুরের কামড়ে আহত উত্তর সেওতা এলাকার কবরস্থানের পরিচ্ছন্ন কর্মী ঘটু মিয়ার বলেন, আমি বেলা ১০টার দিকে কবরস্থান পরিষ্কার করছিলাম। এমন সময় একটি কুকুর এসে আমার পায়ে কামড় দেয়। পরে আমি দুই হাত দিয়ে কুকুরের মুখ ধরে টেনে ছাড়িয়ে নিলেও পরে কুকুর আবার হাঁতে কামড় দিয়ে মাংস ছিড়ে নিয়ে যায়। ৬৫ বছরের সালেহা বেগম জানান, সেওতা এলাকায় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি কুকুর এসে আমার পাঁয়ে কামড় দিয়ে মাংস ছিড়ে নিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এভাবে কুকুরের আক্রমনে আহত অন্যান্য নারী-শিশুরাও বলেন, ক্ষ্যাপা কুকুরগুলো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দৌড়ে এসে পায়ে কিংবা হাতে কামড় দিয়ে মাংশ ছিড়ে নিয়েছে। মানিকগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজ সকালে আমার ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিন সেওতা, উত্তর সেওতা, পশ্চিম সেওতা এলাকায় নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ প্রায় ৪০ জনকে কামড় দিয়েছে পাগলা কুকুরে। সম্প্রতি পাগলা কুকুরের আনাগোনা বেশ বেড়ে গেছে। এদের ভয়ে অনেকেই এখন রাস্তায় বের হতে সাহস পাচ্ছে না। সেওতা এলাকা ছাড়াও মানরা, গিলন্ড, ভাটবাউর, পৌলী, বান্দুটিয়াসহ আরো বেশ কিছু এলাকায় পাগলা কুকুরের আনাগোনা বেড়ে গেছে। ওইসব এলাকা থেকেও কুকুরের কামড়ের খবর পাওয়া গেছে। মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. বাহাউদ্দিন বলেন, কুকুরে কামড়ের রোগীদের ভ্যাকসিন ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী বলেন, কুকুরের কামড়ে অনেক মানুষজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। ক্ষ্যাপা কুকুর থেকে সতর্কবস্থায় নিরাপদে চলাচলের জন্য মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।