গোপালপুরে হেমনগর ও ঝাওয়াইল ইউনিয়নের গুলিপেচা, পশ্চিম শাখারিয়া, চর সোনামুই ও নলিন পশ্চিমপাড়া গ্রামের মানুষ এখনো পানি বন্দী। কিছু পরিবার ভূঞাপুর- তারাকান্দি যমুনা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশের কয়েকটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। এ সব এলাকায় বন্যায় শত শত একর ফসলী জমি প্লাবিত হয়েছে। চরসোনামুই গ্রামের অধিকাংশ নলকুপ ডুবে যাওয়ায় পানীয় জলের সংকটের কারণে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণের জন্য জ্যারিকেন বা পানি রাখার পাত্র, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং হাইজীন বক্স সরবরাহের দাবী তাদের। পাঁচ শতাধিক পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার প্রাথমিক তথ্য দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা আক্তার জানান, বন্যায় ৫৭ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত এবং ৭ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্নরুপে বিনষ্ট হয়েছে। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বাড়বে বলে জানান তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন খান জানান, পানীয় জল সংকটের কারণে উপদ্রুত এলাকায় যাতে ডায়রিয়াসহ নানা রোগব্যাধি ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য একাধিক মেডিক্যাল ট্রিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, বিগত তিন দিনে পানিবন্দী মানুষের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ উপহারসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে। পানিবন্দীদের ঘরে ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কেএম গিয়াস উদ্দীন জানান, বন্যাকবলিত জনপদে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক ও অবকাঠামোগত সহযোগিতার জন্য উপজেলা পরিষদ কাজ করছে।