বর্ষাকালে বেড়ে যায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। এখন জ্বর হলেই কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ছেন ডেঙ্গু ভেবে। ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা সংক্রমিত মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত সংক্রামিত মশার কামড়ের ৪-১০ দিন পরে শুরু হয় ডেঙ্গুর বিভিন্ন লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পায়। এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো হঠাৎ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। গুরুতর ডেঙ্গু অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ও শক সৃষ্টি করতে পারে, যা কারো কারো ক্ষেত্রে জীবন-হুমকিস্বরূপ হতে পারে। শিশু ও গর্ভবতী নারীদের গুরুতর ডেঙ্গু হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
আবার যারা পরবর্তী সময়ে আবারও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তাদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি বেশি। এ কারণেই ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে কী কী টেস্ট করা হয়? ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য সময় প্রয়োজন। শরীরে লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার ৩-৪ দিন বা তার পরে আপনি এই টেস্ট করতে পারবেন। এই আণবিক পরীক্ষা আপনার রক্তের নমুনায় ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে জেনেটিক উপাদানের সন্ধান করে।
পিসিআর পরীক্ষা: পিসিআর পরীক্ষা (পলিমারেজ চেইন প্রতিক্রিয়া) হলো এক ধরনের আণবিক পরীক্ষা, যা ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। এই পরীক্ষা লক্ষণ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে করা যেতে পারে। সপ্তাহখানেক পরে এই পরীক্ষা করলে সঠিক ফলাফল নাও পেতে পারেন। পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গুর পাশাপাশি মশাবাহিত অন্যান্য রোগ যেমন- চিকুনগুনিয়া, জিকা ইত্যাদিও শনাক্ত করে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কী কী? >> বমি বমি ভাব ও বমি >> ফুসকুড়ি >> চোখের ব্যথা, সাধারণত চোখের পেছনে
>> মাথাব্যথা >> জয়েন্ট, হাড় বা পেশী ব্যথা।
জ্বর চলে যাওয়ার ২৪-৪৮ ঘণ্টা পরে গুরুতর ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো শুরু হতে পারে। আপনার বা পরিবারের কারও মধ্যে যদি নিন্মোক্ত গুরুতর ডেঙ্গু দেখা দেয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিতে হবে। যেমন-
>> পেট (পেট) ব্যথা বা কোমলতা >> বমি করা (২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩ বার) >> নাক বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
>> মলের মধ্যে রক্ত বা রক্ত বমি করা (মলত্যাগ) >> ক্লান্তি, অস্থিরতা বা খিটখিটে বোধ করা ইত্যাদি। সূত্র: মেডিলাইনপ্লাস.গভ