কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক সময় রূপ নিলো গণআন্দোলনে। সে আন্দোলন ঠেকাতে অনেক প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার।
সরকারি দল ও পুলিশের সহিংসতায় গত এক মাসের বেশি সময়ের আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন শত শত ছাত্র ও জনতা। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধসহ অগণিত আন্দোলনকারী আওয়ামী লিগ সরকারের সহিংসতার শিকার হয়ে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন।
ছাত্র জনতার পাশাপাশি শিশুসহ অকালে ঝরে গেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের প্রাণ। তাদের এ আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ ও আন্দোলনে প্রাণ হারানো সকল শহীদের প্রতি বিনম্র জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের অফিস ভবনের দেয়ালে বিশাল ব্যানার ও ফেস্টুনে শহীদদের ছবি সম্বলিত ব্যানারে লিখা-‘জাতীয় এ আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’ নিচে বিসিবির লোগো ।
আন্দোলনে শহীদদের জন্য মোনাজাত, বিনম্র শ্রদ্ধা ও শোক বিসিবির
গতকাল বুধবার সকালে সবুজ মাঠে পাকিস্তানগামী ‘এ’ দলের অনুশীলন কভার করতে গিয়ে সাংবাদিকদের চোখে পড়লো বিসিবির এ ব্যানার ও ফেস্টুন।
বিগত এক মাসের ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর এদিনই প্রথম মিরপুরের সবুজ মাঠে পা রাখলেন ক্রিকেটাররা। অনুশীলন পর্বের শুরুতে সেই শহীদদের স্মরণ এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন ক্রিকেটার। সেই সঙ্গে ছিল এক মিনিটের নীরবতা। এরপরেই নিয়মিত অনুশীলন পর্ব শুরু করেন তারা। এদিকে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের মাঝেই বিসিবি প্রাঙ্গণে এসেছিল সেনাবাহিনীর টহল দল।আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিসিবির নিয়ন্ত্রণও ছিল তাদের হাতে। পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিসিবিতে দেখা যাচ্ছে আমূল পরিবর্তন, এবং সেটা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগের আগেই। যা কিনা বেশ চমকের জন্ম দিয়েছে।