পাকিস্তানের পদকের খরা কাটিয়েছেন আরশাদ নাদিম। ৩২ বছর পরে প্যারিস অলিম্পিক্সে পাকিস্তানকে পদক এনে দিয়েছেন তিনি। তা-ও আবার স্বর্ণ। প্যারিস থেকে দেশে ফেরার পরে তাকে ষাঁড় উপহার দিয়েছেন তার শ্বশুর। পাকিস্তান সরকারের কাছে তিনটি দাবি করেছেন আরশাদ। দেশে ফিরে নিজের গ্রাম খানেওয়ালে যান আরশাদ। সেখানে যাওয়ার পরে আরশাদের শ্বশুর মুহম্মদ নওয়াজ তাকে একটি ষাঁড় উপহার দিয়েছেন। নওয়াজ জানিয়েছেন, তাদের গ্রামে এই উপহার খুব সম্মানের। নওয়াজ বলেন, ‘সাফল্যের পরেও শিকড় কখনো ভোলেনি আরশাদ। সে এখনও গ্রামেই থাকে। বাবা, মা, ভাইদের দেখে। তাই ওকে সম্মান জানাতে এই উপহার দিয়েছি।’
ছয় বছর আগে নওয়াজের ছোট মেয়ের সাথে বিয়ে হয় আরশাদের। সেই সময় আরশাদ পেশাদার খেলোয়াড় ছিলেন না। নওয়াজ বলেন, ‘ছয় বছর আগে যখন আমার মেয়ের সঙ্গে আরশাদের বিয়ে হয়েছিল, তখন ও ছোট একটা চাকরি করত। কিন্তু জ্যাভলিন ছিল ওর নেশা। বাড়ির পাশের মাঠে ও জ্যাভলিন ছুড়ত। ধীরে ধীরে জ্যাভলিন খেলোয়াড় হয়ে গেল। এত দিনে স্বপ্ন সফল হয়েছে আরশাদের।’
অলিম্পিক্স থেকে ফিরে গ্রামের উন্নতির কথা শোনা গিয়েছে আরশাদের গলায়। তিনি বলেন, ‘আমার গ্রামে রাস্তা দরকার। রান্নার গ্যাসেরও অভাব রয়েছে। যদি সরকার এই দুটি দিক দেখে, তা হলে খুব ভালো হয়। আমার আর একটা স্বপ্ন আছে। পাশের শহর মিয়ান চান্নুতে যদি একটা বিশ্ববিদ্যালয় হয় তা হলে গ্রামের মেয়েরা সেখানে পড়তে যেতে পারবে। তাদের দেড়- দু’ঘণ্টা দূরে মুলতানে যেতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় হলে গোটা এলাকার উন্নতি হবে।’
প্যারিসে ৯২.৯৭ মিটার ছুড়ে সোনা জেতেন আরশাদ। তিনিই একমাত্র যিনি দু’বার ৯০ মিটারের বেশি ছোড়েন। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে রুপা জিতেছেন ভারতের নীরজ চোপড়া। ৮৯.৪৫ মিটার ছুড়েছেন ভারতীয় তারকা। গতবার টোকিওয় সোনা জিতলেও এবার রুপা জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাকে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা