শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন

ফটিকছড়ির ২ মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ, ৬ ইউপিতে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব প্রদান

আলমগীর নিশান (ফটিকছড়ি) চট্টগ্রাম
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার ২ মেয়রকে তাদের পদ থেকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।সোমবার সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা হলেন ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন মুহুরী, ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এবং নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এ কে জাহেদ চৌধুরী। সরকারি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনায় সরকার জনস্বার্থে যেকোনো সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করতে পারে এবং সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে। এই আইন অনুযায়ী, অপসারিত জনপ্রতিনিধিদের স্থলে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে বদ্ধপরিকর এবং এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অন্যদিকে ফটিকছড়ি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব প্রদান করেছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। গত ১৮আগস্ট এক স্বারকে তিনি এ দায়িত্ব প্রদান করেন। স্বারকে জানা গেছে, সম্প্রতি উদ্ভুত বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ফটিকছড়ি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা প্রাপ্তি বিঘিœত হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল সেবা দ্রুততার সাথে প্রদানের লক্ষ্যে ১নং বাগান বাজারে ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করবেন প্রকল্প কর্মকর্তা (পজীপ) আলী নুর মিয়াজী, ২নং দাঁতমারা ইউনিয়নে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ৩নং নারায়াণহাট ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মুরাদ চৌধুরী, ৭নং কাঞ্চননগর ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, ১০নং সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা একেএম নজরুল ইসলাম, ১১ নং সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কোথাও কোন প্রশাসক দেয়া হয়নি। ৬ ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা প্রাপ্তি বিঘিœত হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল সেবা দ্রুততার সাথে প্রদানের লক্ষ্যে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com