বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাংলাদেশের সুমহান ঐতিহ্য। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশীরা কখনোই ঔদার্য, পারস্পরিক শুভেচ্ছাবোধ ও অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা হারায়নি।
সনাতনধর্মীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেয়া সোমবার গতকাল দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, “শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।” তারেক রহমান বলেন, ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, জন্মাষ্টমী বিষ্ণুর অবতার শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন। জন্মাষ্টমী আবহমান কাল ধরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত ধর্মীয় উৎসব। যেকোন ধর্মীয় উৎসব সার্বজনীন, সম্প্রদায়গত ভেদরেখা অতিক্রম করে মানুষকে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে। মানব সমাজের মধ্যে এক অনন্য সংহতি জাগ্রত করে। আনন্দরূপ বিনম্রতায় সমাজে সকলকে এক অভিন্ন আন্তরিকতায় আপ্লুত করে।’
তিনি বলেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানব কল্যাণ। যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন এমনি এক সময়ে যখন সমাজে অত্যাচারী রাজার ভয়াবহ স্বেচ্ছাতন্ত্র কায়েম ছিল। তিনি সেই অশান্তি ও অন্যায়কে দমন করে পৃথিবীতে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করে সমাজে সদাচারী ও নিরপরাধ মানুষদের শান্তি ও স্বস্তি দান করেছিলেন। জনস্বার্থ-বিরোধী ও অবিবেচনাপ্রসূত স্বৈরাচার-শক্তি আজও দেশে দেশে মানুষের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের খড়গ নামিয়ে এনেছে। শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও কৃতকর্ম অনুসরণে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শিক্ষা থেকে নিপীড়িত মানুষ প্রেরণা লাভ করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, এখানে সকল ধর্মের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। বিএনপি সেই বন্ধন অটুট রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। জন্মাষ্টমীর এই শুভদিনে তিনি সকলের প্রতি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।