জামিল আহমেদের মতো স্বৈরাচারের দোসর কীভাবে শিল্পকলা একাডেমির ডিজি হয়, এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি কেউ কেউ আবার বলছে শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ করা দরকার দেশে একটি স্থিতিশীল পরিবেশের জন্য। কেন? হিটলারের সঙ্গে কী সংলাপ করা যায়? আবার আমরা ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানকে ডেকে নিয়ে এসে সংলাপ করবো? এসব বলা লোক সৈয়দ জামিল আহমেদকে শিল্পকলা একাডেমির ডিজি বানানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে কেন? তিনি কয়েকদিন আগে বলেছেন পালিয়ে থাকা রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু-এদের নিয়ে আসা দরকার। আমার প্রশ্ন তারা পালিয়েছে কেন? তারা আত্মগোপনে আছে কেন? গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র উদ্যোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত তিনটি পরিবারে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অর্থসহায়তা দিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ২৫ জন ডিসি দিয়েছেন। এই ২৫ জন ডিসির সবগুলোই ছিল ছাত্রলীগের। এরা এখন ডিসি হয়ে গেছে। এরা তো গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করবে না। আজ যারা আয়নাঘর করেছে, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডকে যারা ধামাচাপা দিয়েছে, যারা একের পর এক দুষ্কর্ম করেছে তাদেরই তো এরা প্রশ্রয় দেবে।
তিনি বলেন, দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থানে যারা অকাতরে জীবন দিয়েছে সেই ছাত্র-জনতা এবং শ্রমজীবী মানুষের উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের মধ্যে এ এলাকায় তিনজন শহীদ হয়েছেন। তার মধ্যে ইমন, নুরু বেপারী এবং বাবু। তাদের পরিবার এখানে উপস্থিত। আমরা এই তিন শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মিথুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।