চলতি বছর জেলার ৩ উপজেলায় ৫৬২টি মন্ডপে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও দুর্গোৎসব আনন্দ ও উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে চারদিকে চলছে সাজ সাজ রব। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগা¤ী¢র্যের মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রস্তুতিমূলক ও আইনশৃংখলা সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান।বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর, সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর এহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ^তী শীল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লিংকন বিশ^াস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ^াস, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা আজরিন তন্বী, কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাশেদুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, জামায়াতের জেলা আমীর অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু, সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো: হাচিবুর রহমান, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট পংকজ বিহারী ঘোষ অন্ন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুকেশ সাহা আনন্দ, কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান অশোক কুন্ডু, মতুয়া মিশনের জেলা সভাপতি অসীম পাল।এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, তিন উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ বিঘœ সৃষ্টি কিংবা অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করলে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে এই দুর্গোৎসবকে সবার আনন্দ উৎসবে পরিণত করতে চাই। প্রতিটি মন্ডপে আইন-শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের টহল দলও নিয়োজিত থাকবে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পূজা উৎযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা কাজ করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ বছর নড়াইল সদর উপজেলায় ২৪৪টি মন্ডপে, কালিয়া উপজেলায় ১৬৭টি মন্ডপে এবং লোহাগড়া উপজেলায় ১৫১টি মন্ডপে দুূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্ডপে প্রতীমা তৈরী এবং সাজ সজ্জার কাজ চলছে। আগমি ৯ অক্টোবর দেবীর বোধন ও ষষ্ঠীপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যদিয়ে চারদিনের শারদীয়া দুর্গাপূজা শুরু হবে। ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ অক্টোবর একই দিনে নবমী ও দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ জেলায় ১৩ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।