হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাককে ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ হার্ট অ্যাটাকের আগে তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে জার্নাল সার্কুলেশনে প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে বেশ কিছু সতর্কতা চিহ্ন থাকতে পারে। যা হার্ট অ্যাটাকের একমাস আগেই প্রকাশ পেতে পারে।
গবেষণায় ৫০০ নারী অংশগ্রহণ করেন যারা হার্ট অ্যাটাক থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। মোট অংশগ্রহণকারীদের ৯৫ শতাংশ জানিয়েছেন যে, হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগ থেকেই তারা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৭১ শতাংশ সাধারণ উপসর্গ হিসেবে ক্লান্তি অনুভব করেন।
৪৮ শতাংশ বলেছেন যে তারা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেননি। অন্যরা এতোটাই ক্লান্তি অনুভব করেছিলেন যে বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না। কিছু নারী বুকে চাপ, শক্তভাব ও ব্যথার লক্ষণ অনুভব করেন।
হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীরে কোন কোন লক্ষণ দেখা দেয়?: ১. অস্বাভাবিক ক্লান্তি ২. ঘুমের ব্যাঘাত
৩. শ্বাসকষ্ট ৪. বদহজম ৫. উদ্বেগ ৬. বুক ধড়ফড় করা ৭. মনোযোগে অভাব ৮. চিন্তা বা স্মৃতিতে পরিবর্তন
৯. চোখে ঝাপসা দেখা ১০. ক্ষুধামান্দ্য ১১. হাত বা বাহুতে যন্ত্রণা বা ব্যথা ১২. রাতে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
এই লক্ষণগুলো কখনো হালকাভাবে নেবেন না। এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত আপনার হার্ট পরীক্ষা করুন। হার্ট অ্যাটাকের আগে প্রকাশ পাওয়া এসব লক্ষণ বেশিরভাগ মানুষই অবহেলা করেন। যার ফলাফল হতে পারে ভয়ংকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত হার্ট স্ক্রিনিং ও মেডিকেল চেক আপ করা, রক্তচাপ পরীক্ষা করা জরুরি। ডায়াবেটিস আছে যাদের, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে তাদের। এ ধরনের অসুস্থতা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে করণীয়: যে কেউ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ বা উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ধূমপায়ী বা মদ্যপায়ী হলে আপনার হঠাৎ কার্ডিয়াক জটিলতার ঝুঁকি বেশি থাকতে পারে। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা জরুরি। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত, তৈলাক্ত ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করুন, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া