শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

গ্রাহকদের বিশ্রাম রুমে দলিল লেখকদের বসিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

মোসলেম উদ্দিন (হিলি) দিনাজপুর
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিরামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে

দিনাজপুরের বিরামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে আসা গ্রাহকদের জন্য নির্ধারিত বিশ্রাম রুমে দলিল লেখকদের বসিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতি মহুরির নিকট থেকে দলিল প্রতি ১৬০ টাকা করে নেওয়া হয়। এতে বাড়তি টাকা গুণতে হয় গ্রাহকদের। সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের নিচতলায় গ্রাহকদের বিশ্রাম রুমে ৬০-৬৫ জন দলিল লেখক বসে কাজ করছেন। আর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা বসার স্থান না পেয়ে আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দলিল লেখক বলেন, আমাদের বসার কোনো স্থান না থাকায় আমরা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বসে কাজ করি। এর বিনিময়ে দলিল প্রতি ১৬০ টাকা করে দিয়ে থাকি। প্রতিদিন বিরামপুরের সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ৮০-৯০টি দলিল হয়ে থাকে। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সেবা নিতে আসা কয়েকজন বলেন, এখানে বসার কোনো জায়গা নেই। তাই অফিসের বাহিরে ঘাসের উপর বসে আছি। অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন। বসার ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে আসা গ্রাহকদের বিশ্রামাগারে দলিল লেখকরা কেন বসে? জানতে চাইলে বিরামপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, আমাদের বসার স্থান এখনও করা হয়নি। জায়গা ঠিক করা আছে। সেড তৈরি হলে আমরা চলে যাব। বিরামপুর সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা হিমেল বাহার শুভ বলেন, দলিল লেখকদের জন্য নির্ধারিত কোনো সেড নেই। তাই আমরা সাময়িকভাবে তাদের এই রুমে বসতে দিয়েছি। তবে দলিল লেখকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। হিমেল বাহার বলেন, যেহেতু তারা রুমটি ব্যবহার করেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য একজন লোক কাজ করেন। তার মজুরি বাবদ কিছু টাকা দিতে পারেন। তবে আমরা কোনো টাকা নেই না। দলিল লেখকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বাহিরে যেন বসার ব্যবস্থা করেন সেই বিষয়ে বলে দিব। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম বলেন, যেহেতু সাব-রেজিস্ট্রার অন্য দপ্তর। মাসিক মিটিংয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। দিনাজপুর জেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. সাজেদুল হক বলেন, সাব-রেজিস্ট্রারের যেসব নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। সেই সব ভবনের নিচতলার একটি রুম জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে আসা গ্রাহকদের বিশ্রামের জন্য নির্ধারিত। সেখানে দলিল লেখকদের বসার কোনো সুযোগ নেই। টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা নেওয়ার কোনো নিয়মই নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com