বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারনে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে বাঘগুজারা ব্রীজ সহ আসপাশের বসতবাড়ি। ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের কাছে ধরনা দিয়েও কোন সুরাহা না পেয়ে ভাঙ্গন এলাকায় মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। তারপরো অব্যাহত রয়েছে বালু উত্তোলন। সরেজমিনে এলাকাবাসী জানায়, মাতামুহুরী নদীর চকরিয়ার কোনাখালী বাঘগুজরা ব্রীজের উপরে-নীচে রয়েছে যুবলীগ ক্যাডার বকুল মেম্বারের ৫বালুর পয়েন্ট। একটি বৈধ বাকী ৪ টি অবৈধ। বাঘগুজারা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় নদীতে ড্রেজার বসিয়ে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি ধ্বসে পড়ছে বাঘগুজারা সেতুর ফাইলিং ও কোনাখালী বেড়ীবাঁধ। হুমকির মুখে পড়েছে সিকদার পাড়ার রাস্তার ভাঙ্গন।
এসব অবৈধ বালু উত্তোলন, স্লুইসগেইট দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে স্থানীয়রা বলেন কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ক্যাডার ও এমইউপি সদস্য ইফতেখার বকুলের নেতৃত্বে এলাকায় জমি দখল, প্রভাবখাটিয়ে স্লুইসগেইট দখল, বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে বাঘগুজারা সেতুর উপর মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন বকুল মেম্বার আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে বিগত ১৭বছর ধরে কোনাখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সিকদার পাড়াস্থ নদী এবং বাঘগুজারা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, স্লুইসগেট দখল করে আসছে।তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এসময় তারা আরো বলেন বকুল মেম্বার পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছেন। সম্প্রতি এডিট করা কিছু অডিও-ভিড়িও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে প্রচার করছে যা সত্য নয়। এসব গুজবে কাউকে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেন বিএনপির নেতারা। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এক নারী জানায় তাদের গাছের বাগান দখল করে বকুল মেম্বার বালুর পয়েন্ট তৈরি করেছে।তিনি বিষয়টি প্রশাসনের সব দপ্তরে অবগত করলেও তার বিচার পায়নি। জমি ফিরে পেতে এ নারী সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয় মিছিলটি বাঘগুজারা সেতু থেকে শুরু হয়ে সিকদার পাড়ার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন। তারা বকুল মেম্বারের শান্তিসহ নানা স্লোগান দেন। এসময় কোনাখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ মনির হাসান, কোনাখালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ, কোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক রাসেল রানা, ছাত্রদলের সভাপতি আমির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুজাদদুল জারিফ, যুগ্ন সম্পাদক মুসলিম উদ্দীন মুবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ, ক্রীড়া সম্পাদক সাকিব, কোনাখালী ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বদি আলম, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শফি, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রশিদ আহমদ, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মোহাম্মদ দুলালসহ নানা পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে যুবলীগ ক্যাড়ার বকুল মেম্বার বলেন, কোনাখালী পয়েন্টের একটি বালু মহাল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর নামে ১৭ লক্ষ টাকায় নিলামের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছি। বাকী ৪ টি অবৈধ। অবৈধগুলো আমি একা ভোগ করলেও গত ৫ আগষ্টের পর থেকে কয়েকজন বিএনপি নেতাকেও শেয়ারে নিয়েছি।