বগুড়ার শিবগঞ্জে আদালতের আদেশ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চিঠিকে অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে সেচ প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম। প্রাপ্ত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের দহপাড়া গ্রামের মৃঃ আব্দুল গফুর ব্যাপারীর ছেলে জহুরুল ইসলাম ২০১৬ সালের চৌদ্দই নভেম্বর উপজেলা সেচ কমিটির মাধ্যমে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে সেচ প্রকল্প চালু করেন। কিছুদিন পর সেচ নীতি অমান্য করে মাঝপাড়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম জোর পূর্বক জহুরুল ইসলামের সেচপাম্পের আওতায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানা সহকারী জজ আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। মোকদ্দমা নং ৬৪/২০১৭। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এলাকার শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে আমিরুল ইসলামকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু আমিরুল ইসলাম আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুনরায় সেচ প্রকল্প চালু করার উদ্দ্যেগ গ্রহণ করে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। উক্ত বিষয়ে অবগত হয়ে জহুরুল ইসলাম পুনরায় প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সহ গত ৮ই নভেম্বর উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবীরের কাছে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবীর বিষয়টি নিজে তদন্ত করে। তদন্ত করার পর মোকামতলা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ রেজ্জাকুর রাহমানকে আমিরুল ইসলামের বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ না দেয়ার জন্য একটি চিঠি প্রদান করেন। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস নির্বাহী কর্মকর্তার চিঠির গুরুত্ব না দিয়ে গত ৯ নভেম্বর দিবাগত রাতের আধারে আমিরুলের সংযোগ চালু করে দেয়। এ বিষয়ে মোকামতলা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ রেজ্জাকুর রাহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমিরুল ইসলামের সংযোগটি নতুন নয়।তাই আমরা সংযোগ প্রদান করেছি। তিনি আদালতের এবং ইউএনও এর চিঠির বিষয়ে কথা বলেন নি।