বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রা শাকবাড়িয়া খালের উপর সেতু নির্মান কাজের অনিশ্চয়তা কেটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের আয়োজনে কম্বল বিতরণ ভৈরবে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও পুলিশের পোশাক উদ্ধার কক্সবাজারে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ তারাকান্দায় সেনাপ্রধানের মহড়া পরিদর্শন ও শীতবস্ত্র বিতরণ নড়াইল ও কালিয়ায় সংবর্ধিত হলেন টেক্সাস বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম দীর্ঘ দুই মাস পর চালু হলো ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন মোংলায় তীব্র লবনাক্ততার মধ্যেও মৌসুমি সবজি চাষাবাদ ও পশু পালনে বদলে গেছে দরিদ্র ৬০ পরিবারের জীবনমান কালীগঞ্জে গৃহবধূকে শিকলে আটকে নির্যাতন: থানায় মামলা শাহজাদপুরে মানদা কান্ত লাহিড়ী হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ময়নাতদন্তের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

অবৈধ নদ-নদীতে বালু উত্তোলনে পাল্টে যাচ্ছে গতিপথ বিলীন হচ্ছে ভূমি প্রকৃতি

মু. খালিদ হোসেন মিল্টন (গলাচিপা) পটুয়াখালী
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫

স্বাধীন বাংলাদেশের ভৈাগলিক মানচিত্রে দেশের নদ-নদী, হাওর খাল-বিলের পানি প্রবাহ, সকল প্রকার নৌ-যান পন্য সামগ্রী এক স্থান থেকে অন্যত্র স্থানান্তর এখন ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পরেছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে, বাড়ী ঘর সহ কৃষি জমি ভেঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে, বালু ভূমি চর-চরাঞ্চল। যে পরিমান মানুষ ভূমি ধসে গৃহ হীনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে তা আগামী সময়ের জন্য আতঙ্কিত। যে ভাবে অন্যায় অনিয়ম ও দুর্ণীতি ও রাজনৈতিক ব্যবসায়ী দখলবাজরা হাতিয়ে নিয়ে অর্থ বিত্তবান হচ্ছে, তা রাষ্ট্র প্রশাসন সহ, পরিবেশবাদীরা ভালোভাবে অবগত। পৃথিবীর স্থল ভাগ, জলবায়ু সহ, নানা বিষয়াদী পরিবর্তন শীল। সেই পরিবর্তনের ফলে মানব কুলের, জীবন-জীবিকা রোগ-বালাই হুমকীর সম্মুখিন। জোর পূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কিছু কিছু চক্র ড্রেজার মেশিন ও মালিক ভাড়া করে পরিবেশের প্রকৃতির যে পরিমান ক্ষতির সৃষ্টি করে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে তেমন কোন দৃশ্যমান বা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেশের জনগন দেখছেনা। শুধু বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, ভৈবব পদ্মা, থেকে যমুনার আদিঅন্ত দু-পার থেকে বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চলগুলো এক দুর্বিত্তায়নের চাঁদরে ধংস হচ্ছে প্রকৃতি ও মানব কূল ব্যবস্থাপনা। প্রতিদিন দেশের সকল মিডিয়া বা পত্র পত্রিকার খুললেই অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবেদন দেখা যায় তাতে টনক নড়ছে না দায়িত্বশীলদের। নদী নিয়ে মজার বিষয় হলো, আমরা কেইই কখনই একই নদী নিজ এলাকা বাদে অন্য বড় নদী গুলো এক বারের বেশী দেখিনা ! কথাটা আশ্চার্য মনে হতে পারে। কিন্তু ভেবে দেখা দরকার-নদী দেখতে স্থির মনে হলেও তা কিন্তু সদা প্রবাহমান, প্রতি মুহুর্তে নদীর যে, ঢেউ দেখছি, তা কিন্তু এক মুহুর্ত আগেও ওখানে ছিল না। আমার দেশের একটা বড় বা বৃহত্তর প্রবাহমান ব্রক্ষ্মপুত্রের কথাই ধরা যাক। তিব্বতে হিমালয়পর্ব থেকে এই নদীর জন্ম, সেই দূর হিমালয় থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের বুক চিরে মেঘনা নদীতে তার অবস্থান সীমানা। এই বিশ্বে কত শত নদী, প্রতিটির এমন কোন জন্ম ইতিহাস আছে। নদীর জন্ম থাকলে কি নদীর মৃত্যুও থাকতে পারে ? বিষয়টি ভাবনার বিষয়। নদীর জীবন প্রবাহ বা গতিপথ ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখতে কি করা উচিত তা নিয়ে নিশ্চয়ই ভাবনার বিষয়টি দায়িত্বশীল দের ভাবতে হবে সবাই মিলে নদী পরিবেশ পরিছন্নতার কাজে সবাই মিলে চেষ্টা না করলে নদী ও প্রকৃতির পরিবেশ বাঁচানো খুব কঠিন। সভ্যতার বিকাশে নগর শহর সহ ভূপ্রকৃতিক কারনে সংগঠিত দূর্যোগ ও প্রতিকার বিষয়ে, যুবক-ছাত্র-জনতা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধির সহযোগীতাই পারবে, আগামী সময়ে আমাদের প্রকৃতি পরিবেশ ও নদীর জীবন বাঁচাতে ॥ বঙ্গদেশের দ্বীপখ্যাত বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রধান চারটি সংকট, যেমন প্রবাহস্বল্পতা, দখল, দূষন,সর্বশেষ অবৈধ বালু উত্তোলন। বিষয় গুলো উত্তোরনের জন্য নৌ মন্ত্রনালয় প্রয়োজনের স্বার্থে রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থাপনার নদীর নভ্যতা দূর করতে ক্ষনন করে, নৌ চলাচলের ববস্থা গ্রহন করবে, সেটাই জনগনের প্রত্যাশা। খর-স্রোত নদ-নদীগুলোতে বালু উত্তোলন কম দেখা যায় যেখানে, চর বা নদী ভরাট সেখানেই, দখল দূষন হচ্ছে অবিরত। দেশের রাস্তাঘাট ইমারত নানা বিধ উন্নয়ন কাজে, ঐতিহাসিক ভাবে বালু প্রয়োজন। সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিয়হের কিছু নদ-নদী থেকে পাথুরে ও টোপ বালু উত্তলোন করে দেশে অট্টালিকা সহ বাড়ীঘর কাজ চলছে সময়ের প্রয়োজনে। রাষ্ট্রিয় ভাবে প্রতিটি জেলা প্রশাসন অফিস থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করে। কর্তৃপক্ষ যে সীমানা পর্যন্ত বালু উত্তোলন করার আদেশ জারী করে পত্র দেয়,সেই নদীর সীমানার বাহুগুন বৃদ্ধি এলাকায় বালু উত্তোলন করে বানিজ্যিক ফায়দা ফায়দা লুটে নিচ্ছে। যার ফলে রাজস্ব ফাঁকি দেয় ঐ প্রভাবশালীরা। একটি সূত্রে জানা যায় ২০১০ সালের ডিসেম্বরে, বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন প্রনীত হয় তার ১ বছর পরে এপ্রিলে প্রনীত হয় বালু মহল ও মাটি ভরাট বিধি মালা। এই আইন বা বিধি মালা আসলে দেশজুরে লিগ্যালাইজ করার উদ্যোগ ছাড়া কিছুই ছিলনা। নদ নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রনে কঠোর আইন প্রনয়ন ও প্রয়োগ তদারকি বাড়াতে হবে। অবৈধদের শাস্তির বিধান সহ মালামাল জব্দ, কার্যকর ব্যবস্থা না করা গেলে, নদী ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা সহ, জীব-বৈচিত্র পরিবেশ রক্ষা উত্তোরন হবে। সামাজিক ভাবে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় নোঙ্গর কমিটি, নদী দিবস থেকে পরিবেশ উন্নয়নে গণ-মানুষ সহ প্রশাসনের কাছে সংগঠনের স্লোগান পৌঁছে দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নদী ও পরিবেশ রক্ষায় ধন্যবাদ জানাই নদী পুত্র ক্ষ্যাত সুমন সামস কে এবং সকল নোঁঙ্গর সদস্যদের।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com