দীপাবলিতে আতশবাজি না পোড়ানোর আহ্বান জানিয়ে টুইট করে সমালোচনার মুখে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। টুইটারে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির শেয়ার করা ১৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভক্তদের উদ্দেশ্যে দীপাবলি বা দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ঈশ্বর আপনাকে ও আপনার পরিবারকে দিওয়ালির সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি দিক। এই দিওয়ালিতে আতশবাজি পোড়াবেন না, পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন এবং আপনার ভালোবাসার মানুষের সাথে এই পবিত্র উপলক্ষটি উদযাপন করুন।
এই ভিডিও মেসেজটি পোস্ট করার পর থেকে ভিরাট কোহলি টুইটারে ট্রেন্ড করছেন। অনেক টুইটার ব্যবহারকারীই ভিরাট কোহলির পোস্টটি পছন্দ করেননি । তবে অনেক ভক্তই তার বার্তাটি সমর্থন করছেন। তারপর থেকেই হ্যাশট্যাগ স্ট্যান্ডউইথভিরাট টুইটারে ট্রেন্ড করছে। কিন্তু এই ভিডিও মেসেজের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ট্রেন্ডও টুইটারে উপরের দিকে রয়েছে, যেখানে মানুষ ভিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মার বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভিরাট কোহলির পোস্ট করা ভিডিও নিয়ে সমালোচনা হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে। অনেক টুইটার ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলছেন, কিছুদিন আগে ভিরাট কোহলির জন্মদিন উপলক্ষে যখন আতশবাজি পোড়ানো হয় সেসময় তিনি কেন তার প্রতিবাদ করেননি? একটি টুইটে ভিরাট কোহলিকে ‘জ্ঞান দেয়া বন্ধ’ করতে বলে পোস্টদাতা লিখেছেন যে, আমার উৎসব তোমার সামাজিক সচেতনা তৈরির উপলক্ষ নয়। আরেকজন ব্যাবহারকারী মন্তব্য করেছেন যে, এই ব্যক্তি কয়েকদিন আগেই আতশবাজিতে ভরপুর আইপিএল ফাইনাল খেলেছেন। তিনি আমাদের উপদেশ দিচ্ছেন কীভাবে উদযাপন করতে হয়, বিসিসিআই বা আইপিএল-এর আয়োজকদের কী তিনি একই উপদেশ দিয়েছিলেন? একজন ব্যবহারকারী আবার ক্রিকেট মাঠের জন্য গাছ কাটা থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের ভ্রমণের জন্য বাস, ট্রেন, বিমানে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের বিষয়টিও তুলে এনেছেন বিরাট কোহলির পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক উক্তির জবাবে। ভিরাট কোহলিকে কটাক্ষ করেও টুইট করেছেন বহু মানুষ। একপক্ষ ভিরাট কোহলির মেসেজের সমালোচনা করলেও ভারতীয় অধিনায়কের সমর্থনেও পোস্ট করেছেন অনেকে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন যে, দিওয়ালি কখনই আতশবাজির উৎসব ছিলো না, এটি ছিলো আলোর উৎসব। তিনি ভুল কিছু বলেননি।
আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, অধিকাংশ সেলেব্রিটি যখন কিছু অন্ধ ভক্তের ভয়ে কোনো মন্তব্য করেন না, তখন নির্ভীক ভিরাট মেসেজ পোস্ট করে প্রমাণ করলেন যে তিনিই রাজা।