মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
পটিয়ায় থামানো যাচ্ছে না মাটি কাটা নান্দাইলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এড. কাজী আরমান কটিয়াদীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, বোরো ধান রোপন নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা ভালুকায় জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও তারুণ্য উৎসব টঙ্গীতে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন লামা অবৈধ ৪ ইট ভাটায় যৌথ অভিযান : ১১ লাখ টাকা জরিমানা পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত শ্রীমঙ্গলের ‘বাইক্কা বিল’ কয়রা শাকবাড়িয়া খালের উপর সেতু নির্মান কাজ শুরু আশার প্রতিফলন এলাকাবাসীর ফটিকছড়িতে শহীদ জিয়ার নামে টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি নৌকার চেয়ারম্যান! কারণ দর্শানোর নোটিশ

তদন্ত ছাড়াই মামলা দায়ের-জামালপুরে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

আবুল কাশেম জামালপুর
  • আপডেট সময় সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

জামালপুরের মেলান্দহ থানায় আমার স্বামী এবং আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাদেরকে পুলিশি হয়রানি করছে। মামলাটি কোন প্রকার তদন্ত করেনি মেলান্দহ থানার ওসি। এদিকে আমরা সত্যিকারের হামলার শিকার হয়ে মামলা দায়ের করি। যে মামলাটি নামমাত্র দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তারের কোন পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। সোমবার দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে রবিউল ইসলামের স্ত্রী আসমা আক্তার এমন অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে আসমা আক্তার বলেন, জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানাধীন শিহাটা মৌজার বি আর এস ৪১৬ নং খতিয়ানে ও ৫২২ নং দাগে ১১.৫০ শতক জমিসহ অন্যান্য মৌজার ভূমি ইসমাইল হোসেন ও আমার স্বামী রবিউল ইসলাম গংরা ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত জমিতে বসতঘর নির্মান করতে গেলে ওই এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামান একই জমিতে জোর পূর্বক ঘর নির্মান করে। এর আগেও এই জমি নিয়ে একাধিকবার শালিশ বৈঠক হলেও প্রত্যেকবার আসাদুজ্জামান বৈঠক অমান্য করে। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে আসাদুজ্জামান গংরা নিজেদের বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং পরদিন ১৭ জানুয়ারি সকালে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের মারধোরসহ ঘরবাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করে। এলাকাবাসী আমিসহ সকল আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে সন্ত্রাসীর দল আমাদের ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আমাদের উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্স যুগে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, এই হামলার অভিযুক্ত আসাদগংরা মেলান্দহ থানায় আমার স্বামী এবং আমার আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে আমাদের সকলকে পুলিশি হয়রানি করছে।
কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই মামলাটি এফআইআর করে মেলান্দহ থানার ওসি। অথচ আমরা সত্যিকারে ভুক্তভোগী হয়ে মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রকার আইনি সহায়তা পাইনি এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি মেলান্দহ থানা পুলিশ। তিনি আরও বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের দোসর নয়ানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ও ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি সোহরাবের হোসনের মদদে আসাদগংরা বারবার আমাদের উপর হামলা করছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এসময় আসাদগংদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা এবং আদালতে ন্যায় বিচার কামনা করেন আসমা আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে আসমা আক্তারের আহত স্বজনরাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পৃথক পৃথক ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে দুই পক্ষের মামলাই দায়ের হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com