টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ও ভাংচুর বন্ধের ও ইট পুরানোর দাবিতে স্মারক লিপি প্রধান করেছে ধনবাড়ী উপজেলার ইট ভাটা মালিক ও শ্রমিক বৃন্দ। বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ধনবাড়ী উপজেলার ইট প্রস্তুতকারী মালিত সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক দের সাথে শ্রমিকরা এসে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে। ধনবাড়ী উপজেলার ইট প্রস্তুতকারী মালিত সমিতি অফিসে এসে জড়ো হন সকাল ১০টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাটার মালিকেরা পরে সেখান থেকে ইটভাটার মালিক শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বরে আসেন। পরে তারা উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ধনবাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহীন মাহমুদ এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ধনবাড়ী উপজেলার উনিশ ১৯টি ইটবাটার মধ্যে অধিকাংশই ভাটা গুলোতে হাইকোর্টের রিট রয়েছে, ৪টি ইট ভাটার হাইকোর্টের রিড চলমান থাকলেও ইট ভাটা পরিচালনা করার জন্য অন্যান্য কাগজ পাতি সঠিক আছে। ইতিপূর্বে ৫-২-২৫ পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিভিন্ন ইট ভাটায় ২,০০,০০০ (২ লক্ষ টাকা) করে জরি পানা করা হয় এবং তা যথাসময়েই পরিশোধ করা হয়।অতি দুঃখের বিষয় ১৭ মর্চ ২৫ পুনরায় পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোড কর্তৃক কর্মকর্তাগন কচু উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ভাটার চিমনি ও অন্যান্য সামগ্রী ভেঙে ফেলায় সারা উপজেলার ইট ভাটার প্রায় ১০০০০(দশ হাজার) শ্রমিক পবিত্র ঈদের সম্মুখে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। যাহা বড় ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ সহ বড় আন্দোলনের রূপ নিতে পারে, এই মুহূর্তে শ্রমিক ইটভাটা ব্যবসায়ী মালিকদের নিকট শ্রমের মূল্য না পাইলে তারা হয়তো বিভিন্ন অপকর্মে জড়াইতে পারে যা আমাদের কাম্য নয়। এ সময় ধনবাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহীন মাহমুদ ইট প্রস্তুতকারী মালিত সমিতির স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে যথাযথ আশ্বাস দেন। এসময় শ্রমিকরা বলেন, কোন ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে, তা না হলে দেখেন এই ঈদে সামনে আমাদের বউ পোলাপান নিয়ে কোথায় যাবো এখনতো বেতনও পাওয়া যাবে না তাদের শখ কিভাবে পূরণ করব।