আগামী ১৬ জানুয়ারী বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই ওবায়দুল কাদের এমপির ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেন, সরকার প্রতিবছর বসুরহাট পৌরসভার জন্য ৬০লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু আমাদের এলাকার রাস্তা ঘাট, মসজিদ, মন্দির, পুল-কালভার্ট, স্কুল, কলেজ মক্তব, মাদ্রাসা এমন কোন জায়গা নেই আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নাই। এ উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় মন্ত্রী মহোদয়ের প্রচেষ্টায়। তিনি আরও বলেন, আমার জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে হলেও আমি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করব। আমি যতদিন বেঁচে থাকব অন্যায়, দুর্ণীতি, অনিয়ম ও অসত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। আমি এ প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমার কাছে নির্বাচন বড় কথা নয়, প্রতিজ্ঞা বড় কথা, আমি নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছি। আমি পুনরায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য বাজারকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা। বসুরহাটে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। আমি বসুরহাট পৌরসভাকে সিঙ্গাপুর বানাব। তিনি নোয়াখালী জেলার এক এমপির চেলের প্রসঙ্গে বলেন, একটি বাচ্চা ছেলে নাকি আমাদের নেতা, আইকন। নোয়াখালী শহর আ’লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু আমাদের নেতা। তিনি বাচ্চা ছেলের (আঞ্চলিক ভাষায় লেদা হোলা) ছবি তার বুকের মধ্যে লাগিয়েছে। তিনি নোয়াখালী ভাষায় বলেন, শরম যদি লাগে গো, ঘোমটা দিয়ে চল গো। ছিঃ ছিঃ এটা ভাবতে আমার লজ্জা লাগতেছে। নোয়াখালীর সাবেক পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ এর সাথে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরাম চৌধুরীর গভীর সখ্যতা। তখনকার সময় বিএনপি পৌরসভা থেকে একটি বড় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আ’লীগ অফিসের দিকে আসতেছে। এর আগে হারুন এমপিকে জানিয়ে দেয় আপনারা অফিস থেকে সরে যান, আমাদের লোকজন বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসতেছে। তাৎক্ষণিক এমপি একরাম চৌধুরী ৩-৪শত লোকজন নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে পালিয়ে যায়। নোয়াখালী আ’লীগের কাউন্সিলের সময় একরাম চৌধুরী ও তার ছেলে প্রকাশ্যে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদুল্লাহ খানের লোকজনের ওপর গুলি চালান। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে। ষড়যন্ত্র বিভিন্ন জায়গা থেকে হচ্ছে হবে, নির্বাচনকে কলংকিত করার জন্য, রং লাগানোর জন্য, মাইজদী থেকে হচ্ছে, ফেনী থেকে হচ্ছে। একরাম চৌধুরীর ছেলের বাড়িতে এবং আমাদের এলাকার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কোম্পানীগঞ্জে অস্ত্র এনেছে। আমি প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি। আমার প্রতিদ্বন্ধি আমার মামা বিএনপির প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী, আরেক প্রার্থী মোশারফকে বলেছি, ভোটের দিন কোন প্রকার অনিয়ম হলে, আমি এবং আমার নির্বাচনে ২প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীসহ নির্বাচন বর্জন করব। তিনি বলেন, আজ সকালে অন্য এক জায়গা থেকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমাকে ঘর থেকে নির্বাচন করার জন্য বের হতে দিচ্ছে না, আপনাকে ধন্যবাদ, আপনার এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী সুন্দরভাবে নির্বাচন করছে। আমার কিছু কিছু কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের ধমকাচ্ছে, আমি আমার কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে বলতে চাই, ধমকানি বন্ধ করুন, ভোট ডাকাতি বন্ধ করুন, অনিয়ম বন্ধ করুন, এ নির্বাচনে এগুলোর কোন সুযোগ নেই। আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী নির্বাচন কমিশনার। তিনি অত্যন্ত ভাল মানুষ, তিনি ১২ তারিখে কোম্পানীগঞ্জে আসার কথা কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে তিনি আসতেছেন না। তিনি আমাকে আর্শ্বাস দিয়েছেন বসুরহাটে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যা যা করার দরকার সবকিছুই তিনি করবেন। তিনি সোমবার সকাল ১২টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারের সকল ব্যবসায়ী সমবায় লিঃ এর এবং ব্যবসায়ীদের বসুরহাট রূপালী চত্বরে নৌকা মার্কার সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাব উদ্দিন, বিশিষ্ট শিল্পপতি বাবু অরবিন্দ ভৌমিক, এলিন গ্রুপের পরিচালক ও শিল্পপতি গোলাম শরিফ চৌধুরী পিপুল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, বসুরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুর হোসেন ফরহাদ, বসুরহাট দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি সুলতান নাছির উদ্দিন মুন্না, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান প্রমুখ।