ঠাকুরগাওয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জেলা উপজেলায় ঢাকা থেকে ঢুকছে মানুষ। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা, নারায়গঞ্জ, চিটাগাং সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঠাকুরগাওয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকার সত্ত্বেও ঠাকুরগাঁও, পীরগঞ্জে, রাণীশংকৈল, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী, রুহিয়া, আসছে কিছু শ্রমজীবি মানুষ।
এতে আতংকিত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার আগতদের বাড়িতে লাল ঝান্ডা উড়িয়ে দিয়ে রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া লাগিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়ে নিজেরা লকডাউন কর্মসূচী পালন করছেন এলাকার লোকজন। তার পরেও থেমে নেই মানুষ আসা। এর মধ্যে গত ৪ দিনে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ২১ জনকে সবুজ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রেখেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে ঢাকা থেকে ১০ জন নারী পুরুষ এলাকায় আসায় শনিবার দুপুরে উপজেলার নিয়ামতপুর ও শিবপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে লাল ঝান্ডা উড়িয়ে দিয়ে এ গ্রাম সহ কালুপীর বাজার লক ডাউন করে দিয়েছে এলাকার লোকজন। তাছাড়া জেরার বিভিন্ন এলাকায় কালুপীর-ঠাকুরগাও পাকা সড়কে কালুপীরে বাঁশ দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ইউপি সদস্য অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এটা করেছেন।
শুক্রবার রাতে জেরা শহরের থেকে শুরু করে উপজেলাগুলোতে নিত্য বাজার এলাকার বেশ কিছু রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল জব্বার জানান, তারা অত্যন্ত তৎপর রয়েছেন। বাইরের জেলা থেকে কোন লোক আসলেই তাদের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠাচ্ছেন তারা। এছাড়াও শনিবার পর্যন্ত সন্দেহ ভাজন ১৩ নমুনা সংগ্রহ করে তারা রংপুর মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
এর মধ্যে ১ জনের রিপোর্ট এসেছে। তাদের শরীরে কোরনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বাকিদের রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে কি অবস্থা ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জেন জানিয়েছেন আমাদে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় ২ জনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া গেছে আর পীরগঞ্জ থেকে ১ জনের। এছাড়াও গোটা ঠাকুরগাঁও জেলা লকডাউন করছেছেন জেলা প্রশাসন।। উল্লেখের বিষয় হলো ইউনিয়ন পর্যায় এখোনও বাজার ঘাট মানুষেমানুষের ভিড় থেমে নেই তারা মানছে না সরকারি নিয়ম কারন।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র